বাংলা গণনাট্য আন্দোলনের সময়ে বিশিষ্ট অভিনেতা এবং নাট্যকার উৎপল দত্ত। প্রথিতযশা নাট্যকার ও অভিনেতা উৎপল দত্তের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলচ্চিত্র জগতের প্রবীণ অভিনেতা উৎপল দত্ত কমেডিয়ান উৎপল দত্ত নামে সুপরিচিত। চলচ্চিত্রের অভিনেতা ছাড়াও, উৎপল ছিলেন একজন সচেতন বিপ্লবী নাট্যকার, একাধিক বিপ্লবী নাটক রচনা করেছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি অনেক হিন্দি সিনেমায় ভিলেনের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। ১৯২৯ সালের ২৯ শে মার্চ জন্মগ্রহণকারী উৎপল দত্তের চলচ্চিত্রের জাদু এমনই, যা আজও মানুষের মনে দাগ কেটে যায়। ৭০ এর দশকে, উৎপল দত্ত জনপ্রিয় হয়েছিলেন একজন কৌতুক অভিনেতা হিসাবে।
আরও পড়ুন – উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘গোলমাল’ ছবিতে অমল পালেকারের সঙ্গে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। ১৯৪০ সালে, উৎপল দত্ত (Utpal Dutt) ইংরেজি থিয়েটারের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি শেক্সপিয়রের সাহিত্যের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। কিছু ইংরেজি নাটকের পর তার মন চলে যায় বাংলা নাটকে। ইতিমধ্যে তিনি অনেক নাটক পরিচালনা ও রচনা করেছেন, সে সময় বাংলার রাজনীতিতে অনেক টালমাটাল ছিল, তাই তিনি বাংলার রাজনীতি নিয়ে নাটক লেখেন, যার কারণে তিনি বহু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
অভিনেতা ছাড়াও উৎপল দত্ত (Utpal Dutt) ছিলেন একজন মার্কসবাদী বিপ্লবী। ১৯৬৩ সালে তার একটি নাটক ছিল – ‘কল্লোল’, যেটি বিতর্কে ঘেরা। এতে নৌবাহিনীর বিদ্রোহী কাহিনী দেখানো হয়েছিল। সেই সময় এই নাটকের মাধ্যমে কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করা হয়েছিল। এরপর ১৯৬৫ সালে উৎপল দত্তকে কয়েক মাস কারাগারে কাটাতে হয়।
১৯৫০ সালে, উৎপল দত্ত বলিউডে প্রবেশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৭৯ সালে আসা এই অভিনেতার ছবি ‘গোলমাল’ দর্শকদের বেশ বিনোদিত করেছিল। আজও এই ছবিটি দেখে দর্শকরা আগের মতোই উপভোগ করেন। এছাড়াও এই অভিনেতার আরও অনেক ছবি রয়েছে যা মানুষ আজও মনে রেখেছেন, যেমন ১৯৮১ সালে ‘নরম গরম’, ১৯৮২ সালে ‘শককিন’, ১৯৮২ সালে ‘অঙ্গুর’ এবং ১৯৮৩ সালে ‘কিসি সে না কেহনা’ ভক্তদের মন জয় করে।
‘আমি শিল্পী নই। নাট্যকার বা অন্য যে কোনো আখ্যা লোকে আমাকে দিতে পারে। তবে আমি মনে করি আমি প্রপাগান্ডিস্ট। এটাই আমার মূল পরিচয়।’ – উৎপল দত্ত