প্রতিবেদন : ব্যাপক চাপে ইমরান খান। জল্পনা, সম্মান বাঁচাতে রবিবার ভোটাভুটির আগেই ইস্তফা দিতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে বুধবার পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান। এরপরেই ইস্তফার জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, চূড়ান্ত কোণঠাসা হয়ে অনাস্থা ভোটে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে এবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানাতে পারেন। যদিও পাক প্রশাসন বা প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই বিষয়ে নীরব।
আরও পড়ুন-বাংলাকে অসম্মানিত করতে তৎপর এক দল জনবিরোধী মুখ
রবিবার পাক সংসদে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটাভুটি হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে গেল ইমরানের ভবিষ্যৎ। আস্থা ভোটের চারদিন আগে অন্যতম শরিক দল এমকিউএম ইমরান সরকার থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এমনকী এমকিউএম বৃহত্তর বিরোধী জোটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চুক্তি করেছে। দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, পিপিপি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত বিরোধী জোট এবং এমকিউএমের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এমকিউএম বিরোধীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় ইমরান খানের পরাজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
উল্লেখ্য, পাক সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা ৩৪২। সরকার গড়ার জাদু সংখ্যা হল ১৭২। কিন্তু এমকিউএম বিরোধী জোটে শামিল হওয়ায় বিরোধীদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৭। অন্যদিকে ইমরানের পাশে এখন রয়েছেন ১৬৪ জন সাংসদ। শেষ পর্যন্ত ইমরান যদি বড় মাপের কোনও চমক দিতে না পারেন তবে পাটিগণিতের বিচারে তাঁর সরকার নিশ্চিতভাবেই এখন সংখ্যালঘু এবং অনাস্থা ভোটেও তাঁর পরাজয় নিশ্চিত।
আরও পড়ুন-বন্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন, দেশজুড়ে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ঘোষণা বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি
অন্যদিকে ইমরান দাবি করেছেন, পাকিস্তানের সরকার ফেলতে বেশ কিছু দেশ টাকা ঢালছে। বিদেশি শক্তির একমাত্র লক্ষ্য হল পাকিস্তানে অস্থিরতা তৈরি করা। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে। যদিও এতকিছুর পর সংখ্যার বিচারে ইমরান সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা। এখন দেখার, আস্থা ভোট পর্যন্ত ইমরান তাঁর কুর্সি ধরে রাখবেন নাকি সম্মান বাঁচাতে আগেই পদত্যাগ করবেন?