এক পদ এক নেতা নীতি’ সহ একাধিক রদবদল তৃণমূল কংগ্রেসে

Must read

মনীশ কীর্তনীয়া : একুশের নির্বাচনে পর সম্ভাবনা ছিল। সম্ভাবনা ছিল সংগঠনিক রদবদলের। অবশেষে সোমবার তা প্রকাশ পেল। দল এক নেতা এক পদ এই নীতি আগেই চালু করেছিল। তাকে অনুসরণ করেই বর্তমান তালিকা প্রকাশ করা হল। দলে নতুন মুখ আনা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জেলাকে সাংগঠনিক দিক থেকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যাতে আরও নিবিড়ভাবে নিচুতলা পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ রাখা যায়।

এবার জেলা সভাপতির পদে বহু নতুন মুখদের এনেছে দল। গুরুত্বপূর্ণ জেলাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সহ সভাপতি করা হয়েছে ২ জনকে।
রাজ্য সহ সম্পাদক করা হয়েছে ৮ জনকে। রাজ্য কমিটিতে বিশেষ ১০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার সভাপতি বদল করা হয়েছে। মালদহ তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি হলেন আবদুল রহিম বক্সী। কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হলেন গিরীন্দ্র নাথ বর্মন। দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান হলেন উদয়ন গুহ। এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান হলেন পার্থপ্রতিম রায়। দার্জিলিং পাহাড়ের সভাপতি হলেন শান্তা ছেত্রী। চেয়ারম্যান হলেন এল বি রাই। দার্জিলিং সমতলের সভাপতি হলেন পাপিয়া ঘোষ। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন অলোক চক্রবর্তী। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি হলেন নূর জাহান বেগম।

আরও পড়ুন : সেরা ফালাকাট কৃষক বাজার, হিমঘরের প্রস্তাব জাপানের

হুগলি জেলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি শ্রীরামপুর, অপরটি আরামবাগ। নদীয়া উত্তরকে কৃষ্ণনগর ও নদীয়া দক্ষিণকে রানাঘাট এই দুই পৃথক সাংগঠনিক জেলা গঠন করা হয়েছে। নদীয়া উত্তর অর্থাৎ কৃষ্ণনগরের সভাপতি হলেন জয়ন্ত সাহা। চেয়ারম্যান হলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। নদীয়া দক্ষিণ অর্থাৎ রানাঘাটের সভাপতি হলেন রত্না ঘোষ কর ও চেয়ারম্যান হলেন প্রমথ রঞ্জন বোস।

আরও পড়ুন : সুভাষ সরোবরে জমজমাট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খেলা হবে উৎসব

বাঁকুড়া জেলাকে সাংগঠনিকভাবে দুটি জেলা জেলায় ভাগ করা হল। বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র, চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা। বিষ্ণুপুরের জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান বাসুদেব দিগর। পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার নতুন সভাপতি হলেন তাপস রায়।

 

Latest article