সরস্বতী দে, শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলে ‘এক পদ এক ব্যাক্তি’ নীতির সিদ্ধান্তে কাজ শুরু হয়ে গেল। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে এই নীতিতে কাজ করতে রাজ্য-সহ দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে সাংগঠনিকভাবে আমূল পরিবর্তন করা হল।
দলনেত্রী দার্জিলিং জেলাকে পাহাড় ও সমতল দু ভাগে বিভক্ত করে আলাদা আলাদা জেলা সভাপতি নিযুক্ত করে দলকে আরও শক্তিশালী করতে তুলতে চেয়েছেন। জেলায় দলকে আরও মজবুত করতে দলনেত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি কুন্তল রায় বাদে অনেক নতুন মুখ পদে এনেছেন। দার্জিলিং জেলা সমতলে আলোক চক্রবর্তীকে চেয়ারম্যান ও বাগডোগরার দাপুটে তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া ঘোষকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিদ্বেষ-বিষের প্রতিষেধক সিলেবাসেই
আগে চেয়ারম্যান ছিলেন রঞ্জন সরকার। পাপিয়া ঘোষ কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কন্যা। বহুদিন বাগডোগরা তৃণমূল কংগ্রেসে সক্রিয়ভাবে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতি তিরকি, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুন্তল রায় ও জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি পদে নির্জল দে-কে দায়িত্ব দেওয়া হল।
আরও পড়ুন : ‘জাগোবাংলা’য় লেখার জেরে অজন্তা বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করল সিপিএম
একই সঙ্গে দার্জিলিং জেলা পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি এলবি রাইকে চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভা সাংসদ শান্তা ছেত্রী জেলা সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে আশা করা যায় যে, নতুন নেতৃত্বে পাহাড় ও সমতলে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন আরও বেশি শক্তির সঙ্গে নতুন মাত্রা পাবে। পাপিয়া জানিয়েছেন, বুথ, অঞ্চল, ব্লক ও জেলাস্তরে সংগঠনকে আরও মজবুত করে তোলার কাজ অগ্রাধিকার পাবে।
এছাড়াও শিলিগুড়ি টাউন ১ নম্বর হিন্দিভাষী এলাকা হওয়ার দরুন সেখানে প্রদীপ গোয়েলকে টাউন সভাপতি করা হয়েছে। জয়ন্ত কর শিলিগুড়ি টাউন ২ নং এর সভাপতি ও দুলাল দত্ত শিলিগুড়ি টাউন ৩ নং এর সভাপতি পদের দায়িত্ব পেয়েছেন।