প্রতিবেদন : ডেইজি, ডলার, ব্ল্যাকি, পাওয়ার, পায়েল, বেলা, মলি, লেমন ও কোরাল। না, এরা কোনও ভিআইপি নন। তবে ভিআইপিদের থেকেও তারা কিছু কমও নন। প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ক’দিন হল পা রেখেছেন এই শহরে। শহরে এসে বেশ খোশমেজাজেই আছেন তাঁরা। প্রথমে চণ্ডীগড় থেকে এসি গাড়িতে চড়ে রাজধানী দিল্লি। সেখান থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে বিলাসবহুল রাজধানী এক্সপ্রেসের ফার্স্ট ক্লাসের এসি কামরায় চড়ে সোজা কলকাতা। আগাগোড়া ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট।
আরও পড়ুন-শিক্ষানীতি গড়তে দশ সদস্যের কমিটি, কেন্দ্রের টোকা শিক্ষানীতি নয়
এভাবেই গত মঙ্গলবার শহরে চলে এল এই নয় ভিভিআইপি। যাদের নিয়ে আপাতত খুশির হাওয়া কলকাতা পুলিশে। এই ভিভিআইপি-রা হলেন কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের নতুন ন’জন সদস্য। ন’জনের মধ্যে আটটি ল্যাব্রাডার ও একটি গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির বলেই জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে যাদের নামকরণও করে ফেলেছেন তাদের অভিভাবকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিদিনে বিস্ফোরক খোঁজার কাজে কলকাতা পুলিশের মস্ত সহায় হতে চলেছে এই ন’জন। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এদের সম্পর্কটা অবশ্য একটু পুরনো। গত এক বছরে কলকাতা পুলিশের সারমেয় বিভাগ থেকে ছ’জন সিনিয়র কর্মী অবসর নেন। ফলে নতুন সদস্যের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন-ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে অনুব্রত
সমস্যা মেটাতে কলকাতা পুলিশ এই ন’টি কুকুরকে কেনে। তখন এদের বয়স ছিল তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে। কেনার পরই ‘উচ্চশিক্ষা’-র জন্য তাদের পাঠানো হয় চণ্ডীগড়ে। সেখানে গত ৬ মাস ধরে ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের কাছে প্রশিক্ষণ পেয়েছে তারা। ট্রেনিংয়ের পর গন্ধ শোঁকায় এখন এই ন’জনের জুড়ি মেলা ভার, বলছেন পুলিশকর্তারা। ন’টি সারমেয়র মধ্যে কোরালই হল একমাত্র গোল্ডেন রিট্রিভার, বাকি আটজনই ল্যাব্রাডার। পরিকল্পনা অনুযায়ী এদের মূলত বিস্ফোরক খোঁজার কাজে ব্যবহার করা হবে। তার জন্য কলকাতায় এদের আরও একপ্রস্থ ট্রেনিং হবে বলেই জানা গিয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই দলে যোগ দেবে আরও এক সদস্য। যার কাজ হবে খুন, ডাকাতি ইত্যাদি অপরাধের ক্ষেত্রে ‘ক্রাইম ট্র্যাকার’ হিসেবে কাজ করা। এদের সঙ্গে আপাতত ‘হ্যান্ডলার’ হিসেবে থাকছেন ন’জন পুলিশ কনস্টেবল। তাঁরা হলেন, বলরাম মণ্ডল, কমল কিশোর শর্মা, কৃষ্ণ তামাং, উত্তম নন্দী, অসীমন্ত বৈরাগী, শীর্ষেন্দু সরকার, সুরজিৎ ঢালি, সৌরভ মাহাতো ও কবীন্দ্র লামা।