সংবাদদাতা, হুগলি : তৃণমূল সরকারের ব্যবস্থাপনায় এই রাজ্যে দিন দিন চিকিৎসা পরিষেবায় প্রভূত উন্নতি ঘটে চলেছে, যা সহজেই চোখে পড়ছে মানুষের। সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতির পাশাপাশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবহার বাড়ছে, বাড়ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সেবার মানসিকতা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সাহসী পদক্ষেপ করতেও দ্বিধা করছেন না তাঁরা। শুধু সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রই নয়, উন্নত পরিবেশ এবং মানসিকতা ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের বহু বেসরকারি হাসপাতালেও।
আরও পড়ুন-গেঁওখালিতে নতুন পাঁচ শিল্প
সরকারের নজরদারিতে চিকিৎসাকেন্দ্রের ভোলবদল ঘটার পাশাপাশি পরিবেশ ও পরিস্থিতির অনেক উন্নতি ঘটেছে। সম্প্রতি যার নজির দেখা গেল জেলার এক চিকিৎসাকেন্দ্রে। সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে চন্দননগরের এক বেসরকারি হাসপাতাল অস্ত্রোপচারের পর রীতিমতো সুস্থ করে বাড়ি পাঠালেন অশীতিপর এক অসুস্থ বৃদ্ধাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন ৯৫ বছরের বৃদ্ধা সুবলা নিয়োগী। বাড়ি চন্দননগর পুরনিগম এলাকার পালপাড়ায়। ৮ এপ্রিল সঙ্কটজনক অবস্থায় নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। পরের দিনই বৃদ্ধার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ, বিশেষত শল্যবিদ চিকিৎসক ডাঃ অরিনকুমার মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-গড়ধরায় কর্মী সম্মেলনে মানুষের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিল তৃণমূলের জনভিত্তি বাড়ছে
তিনি দায়িত্ব নিয়ে ৯৫ বছর বয়সি সুবলা নিয়োগীর অস্ত্রোপচার করেন। ডাঃ মুখোপাধ্যায় জানান, এত বেশি বয়সের কোনও রোগীর হৃদরোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হলেও অস্ত্রোপচার করার ঝুঁকি নেওয়া হয় না বয়সজনিত কারণেই। কেননা এঁদের ক্ষেত্রে সফলতার হার কম এবং অস্ত্রোপচার করলেও খুব কম ক্ষেত্রেই এঁদের সুস্থ হয়ে উঠতে দেখা যায়। কিন্তু এই বৃদ্ধার ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি অস্ত্রোপচার করতে। জানা গিয়েছে, তিনদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠে মঙ্গলবারই তাঁর পালপাড়ার বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন সুবলা দেবী। তাঁর ক্ষেত্রে আশা ছেড়ে দেওয়ার পরও যেভাবে ডাক্তাররা সফল অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে সুস্থ করে তুলতে পেরেছেন তার জন্য ডাক্তারবাবুকে ধন্য ধন্য করছেন রোগীর বাড়ির লোকজন।