গেঁওখালিতে নতুন পাঁচ শিল্প

জমির মিউটেশন, সীমানা নির্ধারণ, ট্রমা কেয়ার সেন্টার চালু করা, হলদিয়া ভবনের সৌন্দর্যায়ন-সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইচডিএ।

Must read

সংবাদদাতা, হলদিয়া : শিল্পের সম্প্রসারণ থেকে পর্যটনের বিকাশ, সব মিলিয়ে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (এইচডিএ)। হলদিয়ার পাঁচটি শিল্প সংস্থাকে কারখানা তৈরি ও সম্প্রসারণের জন্য ২৬ একর জমি দেবে এইচডিএ। এছাড়া, তারা পর্যটনের বিকাশের জন্য গেঁওখালির ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিলেজ ট্যুরিজম গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার পর্ষদের বৈঠকে এমন গুরুত্বপূর্ণ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান এইচডিএ-র চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর।

আরও পড়ুন-গড়ধরায় কর্মী সম্মেলনে মানুষের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিল তৃণমূলের জনভিত্তি বাড়ছে

পর্ষদ সূত্রে প্রকাশ, পাঁচটি শিল্পসংস্থা হলদিয়ায় জমি চেয়েছিল। তাদের তিনটি নতুন সংস্থা কারখানা স্থাপন এবং দুটি পুরনো সংস্থা কারখানা সম্প্রসারণের জন্য জমি চেয়েছে। একটি সংস্থা ১৫ একর জমি নিচ্ছে। সেই শিল্পসংস্থাগুলিকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া গেঁওখালির ভিলেজ ট্যুরিজম প্রকল্পে মৎস্য, উদ্যানপালন, সিএডিসি ও বন দফতরের মিলিত উদ্যোগে প্রকল্প রূপায়ণ হবে। এখানে অতিথিনিবাসের জমিতে মিশ্র কৃষির পাশাপাশি ইকো পার্ক, সোলার পার্ক, মাটির অ্যাম্ফিথিয়েটার গ্যালারি, প্রজাপতি পার্ক প্রভৃতি তৈরি করা হবে। বেড়াতে এসে পর্যটকরা গ্রাম্য পরিবেশে টাটকা সবজি, মাছ-মাংস, মধু কিনতে পারবেন। বায়ো প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে কৃষিজাত ফসল পর্যটকদের দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

আরও পড়ুন-অনিশ্চিত কমনওয়েলথেও এশিয়াড ট্রায়ালে রাজি নন সাইনা

এছাড়াও জমির মিউটেশন, সীমানা নির্ধারণ, ট্রমা কেয়ার সেন্টার চালু করা, হলদিয়া ভবনের সৌন্দর্যায়ন-সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইচডিএ। ওদের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক হিসেবে থাকা ৬০০ একর জমির মধ্যে ৪০০ একরের পুরনো মালিকদের নাম এখনও বাতিল করা হয়নি। হলদিয়ায় বিশেষ শিবিরের মাধ্যমে সেই কাজ শেষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জ্যোতির্ময় করকে এইচডিএ-র চেয়ারম্যান করার পর হলদিয়ার উন্নয়নে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত গৃহীত হল। ফলে কর্মসংস্থান-সহ হলদিয়ার সার্বিক উন্নতি ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। খুশি শিল্পমহলও।

Latest article