সঞ্জিত গোস্বামী: পঞ্চায়েতস্তরে নিজস্ব আয়ের পথ তৈরি করে এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে দেশে নজির গড়ল পুরুলিয়ার মানবাজার থানার জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই সাফল্যের কারণে কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ভূয়সী প্রশংসা করতে বাধ্য হল তাই নয়, জিতুজুড়ি পঞ্চায়েতের সাফল্যের কাহিনি দেশবাসীকে শোনাতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর তাদের ডেকেও পাঠাল। চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে অমৃত মহোৎসবে যোগ দেবে ওই পঞ্চায়েত।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের কড়া সমালোচনা স্পিকারের
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত প্রধান কল্পনা টুডু, নির্মাণ সহায়ক রাজু দাস ও মানবাজার ১ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও রাজীব মুর্মু দিল্লি রওনা হয়েছেন। এই জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদলাগোড়া গ্রামে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর বাড়ি। তিনি এবং তাঁর স্বামী, জেলা পরিষদের শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডুর এই সাফল্যে বড় ভূমিকা রয়েছে। সন্ধ্যারানি বলেন, ‘‘কীভাবে পঞ্চায়েতের সীমিত পরিসরে আয় করা যায়, তা দিল্লিকে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পঞ্চায়েতকে মডেল করুক কেন্দ্র।’’ গুরুপদ বলেন, ‘‘আমরা প্রথমেই চেষ্টা করেছিলাম, স্বনির্ভর দলগুলির আর্থিক উন্নতি ঘটিয়ে এলাকার আর্থিক কাঠামোয় বদল আনতে।
আরও পড়ুন-রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাওয়াই কি মুদ্রাস্ফীতিতে কার্যকর হবে?
গ্রামের অদূরে কংসাবতী নদীতীরে স্বনির্ভর দলের মাধ্যমেই পঞ্চায়েত গড়ে তুলেছে হাতিপাথর পর্যটন কেন্দ্র। সেখানে রাত্রিবাসেরও ব্যবস্থা আছে। এছাড়া এই পঞ্চায়েত শ্যামপুর মৌজায় একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এলাকার বাজারগুলি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেখানে পচনশীল বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকছে না, অন্যদিকে তেমনই বিকল্প আয় পাচ্ছে স্বনির্ভর দলগুলি।’’ পঞ্চায়েত প্রধান কল্পনা টুডু বলেন, নির্মাণ সহায়ক নিজে উদ্যোগ নিয়ে এলাকায় একাধিক ভবন নির্মাণ করেছেন। সেগুলি থেকেও আয় হচ্ছে পঞ্চায়েতের। সদ্যসমাপ্ত হওয়া আর্থিক বছরে হাতিপাথর পর্যটনক্ষেত্র, বর্জ্য থেকে সার তৈরি এবং ভবনগুলির ভাড়া থেকে সব খরচ মিটিয়ে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা লাভ হয়েছে পঞ্চায়েতের। উপকৃত হয়েছে ২০টি স্বনির্ভর দল।