চিত্তরঞ্জন খাঁড়া : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাবের জমকালো অভিষেক। নববর্ষের প্রথম দিন আত্মপ্রকাশ করল সাংসদ অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব (ডিএইচএফসি)। মহেশতলার বাটা স্টেডিয়ামে ময়দানি প্রথা মেনে প্রথমে বারপুজো হল। কোচ কৃষ্ণেন্দু রায়, সভাপতি গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব মানস ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে বারপুজোয় অংশ নেন ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অভিষেক। এর পর উৎসবের আবহে মঞ্চে আত্মপ্রকাশ ঘটে অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার এফসি-র। প্রথমে ক্লাবের লোগো প্রকাশ। তার পর হোম ও অ্যাওয়ে জার্সির উন্মোচন। ডিএইচএফসি লেখা ক্লাবের লোগোয় রয়েছে বাঘের মুখ এবং তিনটি তারা। লাল-সাদা হোম জার্সি এবং বেগুনি-লাল-সাদা অ্যাওয়ে জার্সিতেও রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মুখ। জার্সি উন্মোচনের সময় অভিষেক হোম জার্সি পরিয়ে দিলেন পাশে থাকা সাংসদ তথা প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অ্যাওয়ে জার্সি পরলেন আর এক সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
অভিষেকের সঙ্গে প্রসূন, ডেরেক ছাড়াও ডিএইচএফসি-র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বিধায়ক অশোক দেব-সহ অনেকেই। এছাড়া মানস, কৃষ্ণেন্দুদের সঙ্গে ছিলেন আর এক প্রাক্তন রহিম নবি।
আবির্ভাবেই কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম ডিভিশনে খেলবে ডায়মন্ড হারবার এফসি। জার্সি, লোগো প্রকাশের পর অভিষেক (Abhishek Banerjee) বললেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য, বছর দু’য়েকের মধ্যে কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে (এ অথবা বি) খেলা। তার জন্য প্রথম বছরেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। ভবিষ্যতে আইএসএলেও খেলবে ডিএইচএফসি।” অভিষেক এই সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে থাকা কুণাল ঘোষকে মজা করে বলেন, ‘‘মোহনবাগানের সহসভাপতি হয়েছেন। এবার কিন্তু আপনার সঙ্গেও খেলা হবে।”
অভিষেক (Abhishek Banerjee) আরও বলেছেন, ‘‘এমপি কাপে দেখেছি, এখানে পরিকাঠামোর অভাব। কিন্তু প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের অভাব নেই। বাইরে থেকে লোক এসে এখান থেকে ফুটবলার নিয়ে যায়। আমরা ফুটবলারদের সবরকম সুবিধার দিকে খেয়াল রাখব। প্রতিভার প্রতি সুবিচার হবে।” তিনি এও জানিয়ে দিলেন, এই ক্লাবে রাজনীতির জায়গা নেই। যে দলেরই সদস্য বা সমর্থক হোন না কেন, এই ক্লাবের দরজা সবার জন্য খোলা।