সংবাদদাতা, মালদহ : গঙ্গাকে পবিত্র করতে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প চালু করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল তাঁরই নির্বাচনী কেন্দ্র বেনারস থেকে। এখন এই ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প বিশবাঁও জলে। বরং গঙ্গায় ক্রমশ দূষণ বাড়ছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই রকম ভাঁওতাবাজি প্রকল্প কতদিন ধরে চলবে। দূষণের জেরে গঙ্গায় জলজ প্রাণীর মৃত্যু হওয়ায় সেগুলি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, দূষণ তীব্রতর হচ্ছে। ফলে কমছে মাছ। তীরবর্তী এলাকাগুলিতে বাড়ছে দূষণ। এরই রেশ দেখা গেল মালদহের বৈষ্ণবনগরে।
আরও পড়ুন-দিনহাটায় দুয়ারে হাজির কাউন্সিলর
গঙ্গা মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার শেষ সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। দূষণের জেরে এখন কমে গিয়েছে মাছ। হা-পিত্যেশ করছেন বৈষ্ণবনগর এলাকার মৎস্যজীবীরা। গঙ্গায় পিউলি, বাচা, ঘেড়া, ব্যাম, ইলিশ মাছ উঠত। এখন এইসব মাছ অমিল। ইলিশের তো দেখাই নেই! মৎস্যজীবীরা এজন্য গঙ্গাদূষণকেই দায়ী করেছেন। দায়ী করেছেন কেন্দ্রের নীতিকে। কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের দুর্যোধন মণ্ডল, ভরত চৌধুরি, বাহাদুর চৌধুরিরা বংশ পরম্পরায় মৎস্যজীবী। তাঁরা বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করেছেন।
আরও পড়ুন-ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রশাসন
কেউ দিনমজুর, কেউ রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়ে ভিনরাজ্যে। শুধুমাত্র মালদহ জেলার ক্ষেত্রেই নয়, ভারতের যে সব রাজ্য বা জেলা দিয়ে গঙ্গা প্রবাহিত, সেইসব এলাকার মৎস্যজীবীদের অবস্থাও করুণ। অথচ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পকে ঘিরে এক সময় আশার আলো জেগেছিল। এখন নামটাই রয়ে গিয়েছে। বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার জানান, নমামি গঙ্গে প্রকল্পের ছিটেফোঁটাও কাজ হয়নি। গঙ্গায় দূষণ বেড়েছে। মৎস্যজীবীরাও কর্মহীন। এরকম ভাঁওতাবাজি প্রকল্প আর কতদিন চলবে?