সংবাদদাতা, রামপুরহাট : মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই তাঁদের ভরসা ও আস্থা। নবান্নে বৈঠকের পর তাই উঠে গেল ধরনা মঞ্চ। ফলে পাঁচামিকে ঘিরে নতুন শিল্প গড়ার পথ আরও মজবুত হল। ফলে দেউচা পাঁচামি কোল ব্লক রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সেখানে জমির জন্য তিনি যে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছেন, তা গোটা দেশের কাছেই দৃষ্টান্ত। আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে ফেলতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার বৈঠকের পর দেউচা পাঁচামি কোল ব্লক শিল্পাঞ্চলে খুশির হাওয়া।
আরও পড়ুন-প্রকৃতিকে রক্ষায় জঙ্গলমহলে পুজো
কথামতো মহাসভার ধরনা মঞ্চ উঠে গিয়েছে। সেখানে জনসংযোগের জন্য সন্ধ্যায় অস্থায়ী কার্যালয় খোলা রাখা হচ্ছে। যদিও মানুষের দাবিদাওয়ার পক্ষে সরকার থাকায় আর কোনও সমস্যাই রইল না বলে সূত্রের খবর। হরিণশিঙা গ্রামের শ্যামল মুর্মু, কেন্দ্রপাহাড়ির বড়বাবু টুডু, দেওয়ানগঞ্জের রাজু মুদি এবং লালবাঁধের সিধু টুডুরা প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় উচ্ছ্বসিত। তাঁরা জানান তাঁরা প্রত্যেকেই জমি দিয়ে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, চাকরি পেয়েছেন। তারপর যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ডেকে প্রতি মুহূর্তে মানুষের দাবি জেনে তার সুরাহা করছেন, তার তুলনা হয় না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁরা সবাই খনির পক্ষে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বুদ্ধ হাঁসদা বলেন, ‘‘আমরা, আদিবাসীরা সবাই খনির পক্ষে। কোনও কোনও জায়গায় সমস্যা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক পদক্ষেপের পর আর কোনও সমস্যাই নেই।’’ জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘‘এখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”