ডুবন্ত ট্রলার থেকে উদ্ধার

পূর্ব মেদিনীপুর থেকে জনৈক যদুপতি গুড়িয়ার ফোন আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ থানার ওসি শুভেন্দু দাসের মোবাইলে।

Must read

সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : শনিবার সকাল সাতটা। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে জনৈক যদুপতি গুড়িয়ার ফোন আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ থানার ওসি শুভেন্দু দাসের মোবাইলে। তিনি জানান, তাঁর একটি পণ্যবাহী ট্রলার বঙ্গোপসাগর ও চিনাই নদীর মোহানায় ডুবে গিয়েছে। ওই ট্রলারে মাঝি ও দু’জন শ্রমিক আছেন। তাঁরা কোনওরকমে ডুবন্ত ট্রলার ছাউনির উপর বসে আছেন। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল। যে কোনও সময় তলিয়ে যেতে পারেন তিনজন।

আরও পড়ুন-স্বপ্ন দেখছে দেউচা

এই খবর পাওয়া মাত্র তড়িঘড়ি কোস্টাল থানার স্পিডবোট (‌এফআইবি)‌ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা দেন ওসি। কোনওরকমে ঢেউ ঠেলে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে রীতিমতো ঢেউয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দড়ির সাহায্যে উদ্ধার করা হয় তিনজনকে। নিয়ে আসা হয় ফ্রেজারগঞ্জ থানায়। উদ্ধার হওয়া তিনজন গুলবাহা খান, শেখ সইফ ও আবদুল লতিফ মির্জা। এঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার বাসিন্দা। তিনজনই সুস্থ আছেন। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় এঁরা ট্রলারের ছাউনির ওপর আশ্র‌য় নিয়েছিলেন। সময়মতো পুলিশ না পৌঁছলে বড় বিপদের সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ কুঁকড়াহাটি থেকে বালি নিয়ে নামখানার দশমাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রলারটি। রাতে হুজ্জুতের খেয়ার কাছে নোঙর করে। শনিবার ভোরে ফের রওনা দেয়। মোহানাতে ঢোকার পরেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উত্তাল ঢেউয়ের জেরে ট্রলারটি চড়ায় গিয়ে ধাক্কা মারে। তারপর পাটাতন পেটে জল ঢুকতে শুরু করে ট্রলারে। পরে সকাল সাতটা নাগাদ আস্তে আস্তে ট্রলারটি ডুবে যায়। ‌

Latest article