অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেনও যে কখনও কখনও ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হতে পারেন, সেটাই প্রমাণ করলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা তাঁর বিধানসভা এলাকা থেকেই সর্বাধিক ভোট পেয়ে তাঁর জয়ের পথ সুগম করেন। অথচ এই নরেন্দ্রনাথকেই নির্বাচনী প্রচার থেকে সাতদিনের জন্য সাসপেন্ড করে কার্যত প্রচারের গতিপথরুদ্ধ করতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ থাকায় একেবারে চৃড়ান্ত পর্যায়ের প্রচারের সময়েই নরেনবাবুকে কার্যত ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল নরেনবাবুর একটি পুরনো ভিডিও জমা দিয়ে কমিশনে নালিশ করেন। নরেনবাবু নাকি বিজেপি নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন, এর পরেও এই খনি এলাকা থেকেই সর্বাধিক মার্জিন পাওয়ায় স্বভাবতই অত্যন্ত খুশি পাণ্ডবেশ্বরের সমস্ত শ্রেণির মানুষ। এই বিধানসভা এলাকা থেকে তৃণমূলের মোট ভোটপ্রাপ্তি ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১৯৪টি। অপরদিকে বিজেপি এই বিধানসভায় ভোট পেয়েছে ২১ হাজার ৭৯০টি। এই বিধানসভায় তৃণমূল বিজেপির তুলনায় ৯৫ হাজার ৪০৪টি ভোট বেশি পেয়েছে। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল (Trinamool Congress) যথাক্রমে ৬ হাজার ও ৩৮০০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।
আরও পড়ুন – ইন্দোরে তৈরি সিএনজি বাস নামছে শহরে
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে বিজেপির থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে ছিল তৃণমূল (Trinamool Congress)। তবে ২০২১ সালের পর ছবিটা পুরোপুরি বদলে যায় রাতারাতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে-সমস্ত সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন, সেই প্রকল্পগুলির প্রায় প্রত্যেকটিই অত্যন্ত সুচারুরূপে মানুষের সামনে হাজির করার সুফল প্রত্যক্ষভাবে ভোটের মেশিনে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার গণনাপর্ব শেষ হতেই তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে আলাদা করে ধন্যবাদ দেন। প্রার্থী সকলের সামনেই তাঁকে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ বলেও বাড়তি গুরুত্ব দেন।