সংবাদদাতা, কাটোয়া : রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাস ও পেট্রোপণ্যের দাম। যার আঁচ পরিবহণ বা হেঁশেল ছাড়াও লেগেছে কৃষিকাজেও। ফলে প্রতিবাদ হিসেবে অভিনব কর্মসূচি নিল কৃষি অধ্যুষিত মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। গরুর গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের ফ্লেক্স বেঁধে ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরল প্রতিবাদ মিছিল।
আরও পড়ুন-আচমকা রাস্তায় ধস দ্রুত সারাচ্ছে পুরসভা
মিছিল ও পথসভায় যোগ দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু প্রমুখ। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘পেট্রোপণ্য বা রান্নার গ্যাসের দাম বাড়া-সহ দিনের পর দিন একটার পর একটা জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা দেশ জুড়ে প্রতিবাদে নেমেছি। মানুষও ক্ষোভে সব ক’টা নির্বাচনে বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।’’ ডিজেলের আকাশছোঁয়া দর রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের ফ্যাসাদে ফেলেছে। তাঁদের কথায়, ‘‘এমনিতেই কেন্দ্রের সর্বনাশা কৃষিনীতির কারণে রাসায়নিক সার থেকে শুরু করে কৃষিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামের দর আকাশছোঁয়া। এখন ডিজেলের দর লিটার প্রতি ১০০ টাকায় পৌঁছে যাওয়ায় চাষ করাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে।’’ কৃষিপণ্য পরিবহণে ট্রাক, ট্রাক্টর, ম্যাটাডর ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন-কর্নাটকে মৃতদের পরিবারকে চাকরি, পাকা বাড়ি, আর্থিক সাহায্য দিল রাজ্য
এগুলি ডিজেলেই চলে। ফলে কৃষিপণ্য পরিবহণের খরচ বেড়ে গিয়েছে। টান পড়ছে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের পকেটে। এমনিতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আনাজের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গোদের উপর বিষফোড়া হল ডিজেলের দর বাড়া। কেতুগ্রামের কৃষক বদরুদ্দোজা শেখ বলেন, ‘‘ট্রাক্টরে ১ বিঘা জমি চষতে হাজার দেড়েক টাকা লাগত। এখন ২ হাজার লাগবে। ধান কাটা ও ঝাড়ার যন্ত্রের ভাড়াও ঘণ্টা-পিছু অন্তত ৫০০ টাকা বাড়বে।’’ গাড়ি ব্যবসায়ী স্বরূপ সেনাপতি বলেন, ‘‘জ্বালানির খরচ বাড়ছে। সেই অনুপাতে ভাড়া বাড়াতে পারছি না। লোকসান হচ্ছে।’’ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘রান্নার গ্যাস ও পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কাঁদিয়ে মোদিজি আচ্ছে দিন পালন করছেন।’’