সংবাদদাতা, ধানতলা : ফের মুখ পুড়ল বিজেপির। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ধানতলা-কাণ্ডে কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের কোনও প্রমাণ পাওয়া গেল না। প্রথমবারের রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছিল ধানতলা থানার পুলিশ। এই ঘটনা থেকে এটা পরিষ্কার যে, বিজেপি একটা আত্মহত্যার ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করতে নেমে পড়েছিল। এক বিজেপি নেতার অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর এখন আবার বিজেপির চক্রান্তের প্রশ্নটাই উঠে আসছে।
আরও পড়ুন-শ্রীলঙ্কায় না হলে আমিরশাহিতে সরতে পারে এশিয়া কাপ
রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী দাবি করেছিলেন, মেয়েটি আত্মঘাতী হয়নি। খুন করে তার দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের প্ররোচনায় সন্দেহ হওয়ায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছিল মেয়েটির পরিবার। কিন্তু তাতেও ধর্ষণ ও খুনের প্রমাণ না মেলায় বিধায়ক এবার পুরো দায় পরিবারের উপর চাপিয়ে নিজের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা প্রথমে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানালেও পরে বিধায়ক মুকুটমণির উপস্থিতিতে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করে। রানাঘাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, ময়নাতদন্তের দুটি রিপোর্টই পেয়েছি। সেইমতো তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন-বিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার বিজেপি নেতা
চড়কের মেলা উপলক্ষে ধানতলায় পিসতুতো জামাইবাবুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল মেয়েটি। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পায় দিদির পরিবার। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিন বিধায়ক মুকুটমণি দায় মৃতের পরিবারের ঘাড়েই চাপিয়ে দিলেন। বললেন, ‘একজন চিকিৎসক হিসেবে ওইদিন কিশোরীর দেহ দেখে আত্মহত্যা নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল। সেকথা মৃতের পরিবারকে জানাই। ওঁদেরও সন্দেহ হয়। তাই তাঁরা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি করেছিলেন। আইন আইনের পথেই চলবে।’ রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, ‘মৃতদেহ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে চেয়েছিল। এখন আসল সত্য সামনে আসতেই মুখ লুকনোর জায়গা পাচ্ছে না।’