সংবাদদাতা, হুগলি : রিষড়া সিদ্ধেশ্বর কালীতলার দম্পতি অনিল শর্মা ও বেবী শর্মার সন্তান অমৃত ও অনন্যা। ৬ষ্ঠ শ্রেণির অমৃতর বয়স মাত্র এগারো। আর ২য় শ্রেণির অনন্যার বয়স মেরেকেটে ছয়। কিন্তু এই বয়সেই দুই ভাই-বোনের ফুটবল স্কিল দেখে এলাকার মানুষের চোখ যেন ছানাবড়া! অমৃত অনায়াসে দু’পায়ে শতাধিক বার বল (Football) নাচাতে পারে। অনন্যাও কম যায় না। ছোট ব্যবসায়ী অনিলবাবু স্থানীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা থেকে বহু পুরস্কার ঘরে তুলেছেন। ফুটবল (Football) খারাপ খেলতেন না। কিন্তু জীবনসংগ্রাম সামাল দিতে গিয়ে খেলাধুলো নিয়ে এগোনো সম্ভব হয়নি। তিনি চান, মোবাইলে চোখ রাখা এই যুগে নিজের ছেলেমেয়ে অন্তত ফুটবল খেলে নাম করুক, বড় হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দেখে পাঞ্জাবের মিনার্ভা ফুটবল আকাদেমি অমৃতকে ডেকেছিল। মাস চারেক সেখানে প্রশিক্ষণও নেয়। কোভিড আবহে বাড়ি ফিরে আসে। করোনা স্বাভাবিক হওয়ায় যোগাযোগ করা হলে তারা কয়েক লক্ষ টাকা চাওয়ায় আর যাওয়া হয়নি। বাড়িতে মায়ের কাছে পড়াশুনোর পর বাবার সাইকেলে চেপে ভাই-বোন পৌঁছে যায় রিষড়ার লেনিন মাঠে। সেখানে বাবার কাছে চলে দুজনের ফুটবল প্রশিক্ষণ। ডান ও বাঁ দু’পায়েই জোরালো শট আছে অমৃতর। মাঝমাঠ থেকে জালে বল জড়াতে ওস্তাদ সে। অনন্যাও এক শটে উড়িয়ে দেয় বল। মেসি-রোনাল্ডো হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দুজনেই রোজ মগ্ন থাকে মাঠে।