প্রতিবেদন : করোনা মহামারীর কারণে ভারতে বেকারত্বের হার রেকর্ড জায়গায় পৌঁছেছে। এরই মধ্যে সামনে এল আরও এক উদ্বেগজনক তথ্য। জানা গিয়েছে, চাকরি না পেয়ে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়েছেন কোটি কোটি বেকার যুবক-যুবতী। যে কারণে তাঁরা চাকরি খোঁজাই ছেড়ে দিয়েছেন। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি নামে এক সংস্থার সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সমীক্ষা রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্তঃসারশূন্যতা। প্রধানমন্ত্রী পদে বসার আগে বছরে দুই কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা তো দূরের কথা, বরং দেশে প্রতিদিনই কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এটাই বাস্তব চিত্র।
আরও পড়ুন-এবার শিশুদের জন্যও কোভ্যাক্সিনের অনুমতি
মোদি একাধিকবার বলেছেন, তরুণ কর্মীদের উপর নির্ভর করে আগামী দিনে অগ্রগতির পথে হাঁটবে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ২০১৭-২০২২ সালের মধ্যে তরুণ কর্মীর সংখ্যা ক্রমশই কমছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে তরুণ কর্মীর সংখ্যা ৪৬ শতাংশ থেকে কমে ৪০ শতাংশ হয়েছে। শেষ পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন ২ কোটি ১০ লাখ তরুণী। এই মুহূর্তে যাঁদের চাকরি করার বয়স হয়েছে তাঁদের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশ চাকরি করছেন বা চাকরি খুঁজছেন। চাকরি করার এখনও বয়স আছে এমন ভারতীয়দের মধ্যে ৪৫ কোটিরও বেশি আর চাকরি খুঁজছেন না। অর্থাৎ তাঁরা মনে করছেন, তাঁদের চাকরি পাওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন-কংগ্রেসকে ‘না’ পিকের, এটা ওই দু’পক্ষের বিষয় : তৃণমূল
একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, চাকরি না পেয়ে এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছেন যে তাঁরা নতুন করে আর কোনও কাজ পাওয়ার আশাই করছেন না। ফলে মোদি সরকার তরুণ কর্মীদের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির যে স্বপ্ন দেখছিল তা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের দুই-তৃতীয়াংশই কাজের বাজারে চরম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছেন। তাঁরা অনেক কম বেতনে বেশি পরিশ্রমের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।