প্রতিবেদন : আফগানিস্তানের অস্থিরতা প্রভাব ফেলেছে কলকাতার শুকনো ফলের বাজারে। দেখা দিয়েছে জোগানের সঙ্কট। দামও বেড়ে চলেছে হু-হু করে। পাইকারি বাজারের মতো একই সমস্যা খুচরো বাজারে। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় ক্রেতা-বিক্রেতারা। বড়বাজার এলাকার মেছুয়া, রাজাকাটরা, লোয়ার চিৎপুর রোড, কটন স্ট্রিট— সব জায়গাতেই একই ছবি।
আরও পড়ুন : এবারের উৎসবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সেজে উঠছে কলকাতা পুলিশ
একেই করোনার চোখরাঙানিতে ব্যবসায়ে টানা মন্দা। তার ওপর আফগানিস্তানে তালিবানি সন্ত্রাসে গত ক’দিনে ব্যাপক ভাটা পড়েছে শুকনো ফলের আমদানি-রফতানিতে। ফলে মূল্যবৃদ্ধিতে আর নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না আদৌ। অগাস্টের গোড়ায় আমন্ড বিকিয়েছিল ৭০০ টাকা কেজিতে। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ৯০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। কিশমিশের দাম একলাফে ৫০০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫০ টাকা কেজি। পেস্তার কেজি এখন ২০০০ টাকা। মানে, দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই শুকনো ফলগুলির কদর ১২ মাস থাকলেও, পুজোর মরশুমে চাহিদা অবশ্যই ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন : দুই ছবি আফগানিস্তানে একদিকে সন্ত্রাস, অন্যদিকে প্রতিরোধ
আর কিছুদিনের মধ্যেই গণেশ পুজো। কিন্তু চাহিদা আর জোগানের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে। বড়বাজারের কটন স্ট্রিট এলাকার প্রবীণ শুকনো ফল ব্যবসায়ী অভিষেক গুপ্তার আশঙ্কা, দাম আরও বাড়তে পারে সামনের দিনগুলিতে। তাঁর কথায়, ‘দীর্ঘ মন্দার পরে বাজার যখন আবার ঘুরে দাঁড়ানোর মুখে, ঠিক তখনই আফগানিস্তানের ঘটনা সঙ্কটে ফেলে দিল আমাদের ব্যবসাকে। কারণ, শুকনো ফলের বড় অংশ আসে আফগানিস্তান থেকেই।’ শুধুমাত্র কাজু, পেস্তা, কিশমিশের মতো শুকনো ফলই নয়, হিং-এর মতো মশলা এবং অনেক ভেষজ উদ্ভিদেরও জোগানদার এই আফগানিস্তান। টান পড়েছে সেখানেও। লোয়ার চিৎপুর রোডের ব্যবসায়ী সত্যম গুপ্তারও তাই
মাথায় হাত।