প্রতিবেদন : রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের (António Guterres) কিয়েভ (Kyiv) সফরের সময়েই ভয়ঙ্কর মিসাইল হামলা চালাল রাশিয়া। লাগাতার বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ২০ নাগরিক মারাত্মক আহত হয়েছেন। কিয়েভের একাধিক বহুতলে রুশ বিমান হানার জেরে আটকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও গুতেরেসের এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুশ হামলায় কেঁপে ওঠে রাজধানী কিয়েভ। ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে, গুতেরেস (António Guterres) আপাতত নিরাপদেই রয়েছেন। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো জানিয়েছেন, শেভচেনকোভস্কি প্রদেশে দু’টি মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রাশিয়া সফর সেরে ইউক্রেনে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত একাধিক এলাকা ঘুরে দেখার সময়ই রুশ মিসাইল হানায় কেঁপে ওঠে কিয়েভ (Kyiv)। রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে ন্যাটো। ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে সোভিয়েত জমানার পুরনো অস্ত্রের বদলে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের জন্য ন্যাটো অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। এই যুদ্ধ কয়েক মাস এমনকী, বছর পেরিয়েও চলবে, সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: জনতার ডার্লিং থেকে সটান কারাগারে, আড়াই বছরের জেল বেকারের
কংগ্রেস অনুমোদন করলে আমেরিকা ৩,৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে ইউক্রেনকে। বাইডেনকে তাঁর এই পদক্ষেপের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সার্বিকভাবে ইউরোপের নিরাপত্তা বাড়াতে ৮ হাজার সেনা মোতায়েন করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরিকল্পনা রয়েছে, ফিনল্যান্ড থেকে উত্তর মেসিডোনিয়া পর্যন্ত এই বিশাল সেনা মোতায়েন থাকবে। পাশপাশি একটি উদ্বেগের খবরও ইউক্রেন থেকে পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র রাজধানী কিয়েভ অঞ্চল থেকেই ১১৫০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঁরা সকলেই সাধারণ নাগরিক। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় পুলিশের।