প্রতিবেদন : কাঁচাপাটের মূল্যের উর্ধ্বসীমা অবিলম্বে তুলে দেওয়ার দাবি জানল আইএনটিটিইউসি। একইসঙ্গে তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের ভেতরে-বাইরে যারা বাংলার পাটশিল্প এবং জুটমিলগুলিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে, তাদের চিহ্নিত করতে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ তদন্ত কমিটি গড়া হোক। সংগঠন নেতৃত্বের অভিযোগ, বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে প্লাস্টিক লবির অত্যন্ত সুসম্পর্ক। বস্ত্রমন্ত্রকেরই কিছু অফিসারের সঙ্গে অশুভ আঁতাত গড়ে উঠেছে এই লবির। তাঁরাই পাটের বস্তার বদলে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহারে মদত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিদ্যাসাগর সেতু রক্ষণাবেক্ষণে এবার কমিটি
আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সল্টলেক সিটি সেন্টার-১ থেকে এক বিশাল মিছিল বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পৌঁছায় সিজিও কমপ্লেক্সে জুট কর্পোরেশনের অফিসে। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, শ্রমপ্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার শ্রমিক নেতা সোমনাথ শ্যাম, শক্তিপদ মণ্ডল। মিছিল এবং জমায়েতে অংশ নেন মূলত হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার শ্রমিকরা। মিছিলের শেষে জুট কমিশনার মলয় চন্দন চক্রবর্তীর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। লক্ষণীয়, কাঁচাপাটের মূল্য বেঁধে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০২১-এর ৩০ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র কাঁচাপাটের মূল্য বেঁধে দেয় কুইন্টাল প্রতি ৬৫০০ টাকা। অথচ বাজারে এই কাঁচাপাট বিক্রি হচ্ছে কুইন্টাল প্রতি ৭২০০ টাকা। ফলে এই দামে কাঁচাপাট কিনে তা থেকে উৎপাদিত পণ্য জুটমিলগুলিকে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ৬৫০০ টাকা দরেই। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে চটশিল্পের। আমফানে পাট উৎপাদন ধাক্কা খাওয়া সত্ত্বেও উদাসীন ছিল বস্ত্রমন্ত্রক। সঙ্কটের কারণে গত ৫ মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের ১৪টি জুটমিল। রাতারাতি কাজ হারিয়ে পরিবার নিয়ে পথে বসেছেন প্রায় ৬০,০০০ শ্রমিক। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, জুট কর্পোরেশনের একপেশে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে রাজ্য ।