তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তিতে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শাহকে (Amit Shah) কড়া ভাষায় আক্রমণ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যেসব কুরুচিকর কথা বলেছিলেন তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেন কুণাল। তিনি (Kunal Ghosh) স্পষ্ট জানালেন, “এক বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন তার জন্য বক্তৃতা শুরু করার আগে ক্ষমা চান অমিত শাহ (Amit Shah)।”
আজকের দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) তৃতীয়বারের সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার কথা দিয়ে কথা রাখেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী। এখন রাজ্যের মানুষ দুয়ারে সরকার পাচ্ছেন।” উত্তরপ্রদেশে লাগাতার ধর্ষণ এর কথাও এদিন উল্লেখ করে কুণাল।
শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কড়া আক্রমণ করে এদিন কুনাল বলেন, নন্দীগ্রামের ১৭টা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টাই তৃণমূল কংগ্রেস পাবে। দুটো পঞ্চায়েত সমিতি আবার জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরও বলেন, সামনে লোকসভা নির্বাচন। দেখবো কোন অধিকারী পরিবারের ক্ষমতা হয় লোকসভা নির্বাচনে মানুষের সামনে দাঁড়ানোর। এই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন মোদি হটাও দেশ বাঁচাও। বিজেপি হচ্ছে দেশের মধ্যে সবথেকে বড় বিষাক্ত দল।
এনআরসি (NRC) নিয়েও এদিন বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেন কুণাল। বলেন, ভোট মেটার পর নাগরিক কিনা পরীক্ষা করে জানানোর কথা মনে পড়ে বিজেপির। যাদের সচিত্র পরিচয় পত্র রয়েছে যাদের আধার কার্ড রয়েছে তাঁরা সকলেই দেশের নাগরিক। এদিকে বিজেপি যেন আঙুল না তোলে। বাংলায় এসব হবে না। কেন জাতি ধর্ম নিয়ে মারামারি হবে। বাংলা ভালো আছে শান্তিতে আছে।
আরও পড়ুন: বর্ষপূর্তিতে আজ নেত্রীর বার্তা
কুণাল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করছে পরবর্তীতে করবে। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন আছে। মমতাদি দিল্লি আসুন সারা ভারত বর্ষ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। বিজেপিকে হারাতে হবে। বিকল্প সরকার গড়তে হবে। সাধারণ মানুষের বন্ধু সরকারকে দেশে আনতে হবে। বড় দল হিসেবে কংগ্রেসের দায়িত্ব ছিল বিজেপিকে প্রতিরোধ করার। কিন্তু কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে বারবার। আমরা কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলিনি চলার কথা বলছি না। ২০১৪ সালে কংগ্রেস বিজেপিকে রুখতে ব্যর্থ হলো তাই এবার হাল তৃণমূলকেই ধরতে হবে। বিকল্প সরকারের চাবিকাঠি বাংলার হাতে রাখতে হবে। বাংলা থেকে নিয়ন্ত্রন হবে কারণ, বাংলা করে দেখিয়েছে।