নতুন নয় কিন্তু মনে করিয়ে দেওয়ার বিষয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রশাসনিক আধিকারিকদের যেকোন কাজের জন্য আর ছুটে আসতে হবে না নবান্নে। তিনিই মন্ত্রিসভার উচ্চ পদস্থ আমলাদের নিয়ে পৌঁছে যাবেন জেলায় জেলায়। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকই এই নিয়ম চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তা এখনও চলছে। তৃতীয় তৃণমূল (TMC) সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তিতে সাংবাদিক বৈঠকে ফের জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা জানান মমতা। ১০ তারিখ থেকে এই সফর শুরু হবে। তবে, শুধু প্রশাসনিক সভাই নয়, দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকও করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন-সাতবছর পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে SSC-তে ৫২৬১টি নয়া পদ তৈরি করে নিয়োগ, জানালেন ব্রাত্য বসু
একনজরে সফরসূচি-
১০ মে পশ্চিম মেদিনীপুর- ৩টেয় মেদিনীপুর শহরে প্রশাসনিক বৈঠক
১১মে- বেলা ১২টায় মেদিনীপুর শহরে বুথ পর্যায়ে পর্যন্ত দলীয় বৈঠক
১১ মে- বিকেল ৪টেয় ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক
১২মে- ঝাড়গ্রামের স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠক
পরবর্তী বৈঠক- বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া
জুন মাসে- আলিপুরদুয়ার
এর পাশাপাশি, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী পালন থেকে শুরু করে ২১জুলাই পালন হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০ মে থেকে থেকে প্রক্রিয়া শুরু হবে। ব্লক, জেলা সব পুনর্গঠন হবে। কমিটি তৈরি হয়ে গেলে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা হবে বলে জানান মমতা।
আরও পড়ুন-বাংলার বদনাম করলে আমার গায়ে লাগে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বলেন, অনেক সময় দলের উপর তলায় দেওয়া নির্দেশ ঠিক মতো উপরের স্তরে পৌঁছয় না। সেইজন্যেই মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামে তিনি বুথস্তর পর্যন্ত নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলে মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে হবে। এখানে পঞ্চায়েত স্তরে যাতে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প পৌঁছে যায়, তার জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা- কাজ করতে দেবেন। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। মা-মাটি-মানুষের উন্নয়নই এই সরকারের লক্ষ্য।