সংবাদদাতা, মন্দারমণি : মন্দারমণির (Mandarmani) অবৈধ হোটেলগুলোর বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ যথাযথ বলে মন্তব্য করল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (National Green Tribunal) । তাদের অনুমতি ছাড়া তৈরি হওয়ায় গত মাসেই ৫০টি হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। নোটিশ যায় ‘অবৈধ নির্মাণের’ অভিযোগে। হোটেলের নোংরা জল যাতে সমুদ্রে গিয়ে না মেশে, সেজন্য বিশেষ পাম্প বসাতে হয়। ১৯টি হোটেল অনুমতি নিয়েও তা বসায়নি বলে তাদের ১২ লক্ষ টাকা করে জরিমানা এবং ১০ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক ডিপোজিটেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্লোজার নোটিশ পাঠানো হয় জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারের কাছে। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মন্দারমণির (Mandarmani) হোটেল মালিকরা একসঙ্গে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের (National Green Tribunal) দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও পিছু হটতে হল তাঁদের। ৯৬টি হোটেলকে অবৈধ বলে মন্তব্য করল ট্রাইবুনালও। তারা জানায়, শিগগিরই রায় ঘোষণা হবে। এই পরিস্থিতিতে হোটেল মালিকরা রীতিমতো কোণঠাসা। মন্দারমণির বেশিরভাগ হোটেল কোস্টাল রেগুলেশন জোনের নিয়ম না মেনেই একের পর এক তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। লকডাউনে প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে এরকম ১৪টি হোটেল গজিয়ে উঠেছে। যদিও হোটেল মালিকদের সংগঠনের এক কর্তার অভিযোগ, ‘হোটেল মালিকদের কোনও বক্তব্য শুনতেই চায়নি ট্রাইবুনাল। কী রায় ঘোষণা হবে জানি না। তবে রায় বিরুদ্ধে গেলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই।’ জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলার শুনানি হয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। ছিলেন দিল্লির চার ও কলকাতার দুই মিলে মোট ছয় বিচারক। যে ৯৬টি হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের নামের তালিকা আগেই ট্রাইবুনালের কাছে ছিল। সেই তালিকা থেকে সব ক’টি নাম জানানো হয়। বলা হয়, এগুলি অবৈধ। দু-একদিনের মধ্যেই এ নিয়ে রায় ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়। জানা গিয়েছে, বিডিও, বিএলআরও এবং থানার ওসিকে নিয়ে একটি নজরদারি কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশকে মান্যতা গ্রিন ট্রাইবুনালের
কোণঠাসা হোটেল মালিকরা, মন্দারমণির অবৈধ নির্মাণ