প্রতিবেদন : ইতিহাসের গৈরিকীকরণের নতুন লক্ষ্য এবার গোয়া। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অনুপ্রেরণায় বিজেপি নেতারা নিজেদের পরিকল্পনামাফিক ইতিহাস লিখতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। বিতর্কিত ‘কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমার ধাঁচেই সংঘের চ্যালারা লিখতে ব্যস্ত তথাকথিত গোয়া ফাইলস। তার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে হিন্দু রক্ষা মহা আঘাদি নামের সংগঠনের উদ্যোগে চলছে প্রদর্শনীও। পর্তুগিজদের দখলে থাকা গোয়ার সেই সময়কার নানা ঘটনা বিকৃত মোড়কে পেশ করা হয়েছে একটি পোস্টার সিরিজে। সেটিই নাকি গোয়া ফাইলস!
আরও পড়ুন-পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত
এই পরিকল্পনার মাথায় গোয়া আরএসএসের প্রাক্তন প্রধান সুভাষ ভেলিংকর। তাঁর দাবি, ঔপনিবেশিক যুগে পর্তুগিজরা যে নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছিল সেই কথাই তিনি তুলে ধরেছেন। আর সেই সময়কার নৃশংসতার জন্য তিনি সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন গোয়াবাসীর পরম শ্রদ্ধেয় সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ারকে। সেই জেভিয়ার, যাঁর পরিচয় গোয়ার রক্ষক হিসেবে। লোকমুখে যিনি কিংবদন্তি, ‘গোয়েঞ্চো সাইব’। আরএসএসের বিকৃত ইতিহাস ভাবনার শরিক ভেলিংকরের দাবি, গোয়ার রক্ষাকর্তা হিসেবে একজন অত্যাচারীকে সম্মান দেখানো যায় না। জেভিয়ারের নেতৃত্বে পর্তুগিজ আগ্রাসন ঘটেছিল। তাই, তাঁকে গোয়ার সাধু বা রক্ষক বলা অপমানজনক। ফলে আমাদের জেভিয়ারবিরোধী প্রচার চলবে। এসব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নথিপত্র তাঁর কাছে আছে বলেও দাবি করেছেন এই সংঘী নেতা।
আরও পড়ুন-খোঁচায় বিদ্ধ
ভেলিংকরের বিস্ময়কর দাবি, পৌরাণিক চরিত্র পরশুরামকে ‘গোয়েঞ্চা সাইব’ বা ‘গোয়ার রক্ষাকারী সাধক’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। স্বভাবতই, ইতিহাস বিকৃতির এই অপচেষ্টার প্রতিবাদে সরব হয়েছে সব পক্ষই। তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।