সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : লোকমুখে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল সিটি সেন্টারের একটি প্রাচীন সৌধ। ‘দেবী চৌধুরানির গুহা’ নামের সেই টিলা থেকে কয়েকশো মিটার দূরের কালীমন্দিরটি ভবানী পাঠকের ‘ভারতমাতা’-র মন্দির নামে আজও পরিচিত। সিটি সেন্টারের এই এলাকাটির পরে নাম হয় অম্বুজা কলোনি। কলোনির ‘উর্বশী উপনগরী’ র মধ্যে রয়েছে বিশাল জলাশয় ভবানী পাঠকের দিঘি।
আরও পড়ুন-ঝড়বৃষ্টিতে বোরো চাষের সর্বনাশ, আম-লিচুর পৌষমাস
সেটি ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো বলে ইতিহাসবিদদের দাবি। এক সময় এই কলোনিতে গৃহনির্মাণের জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ শুরু হলে বেরিয়ে পড়ে একটি প্রাচীন সুড়ঙ্গ। ২০১০ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার এলাকাটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করে এক বেসরকারি সংস্থাকে জলাশয়টি ১০ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়। প্রথম থেকেই যার বিরোধিতা করেন শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব, স্থানীয় মানুষ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-ফের সরকারি সম্পত্তি বেচতে নেমেছে কেন্দ্র
মামলা চলাকালীনই রাজ্যে ঘটে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন। দীর্ঘ আইনি জটিলতা কাটিয়ে সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক দিঘিটির আমূল সংস্কারের কাজ শুরু করল আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। আনুমানিক খরচ দেড় কোটি টাকা। প্রথম ধাপে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। সূচনায় ছিলেন মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়।