কমল মজুমদার জঙ্গিপুর: ‘ইলিশের অভয়ারণ্য’-এ গড়ে উঠতে চলেছে ইলিশ গবেষণাগার। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা ব্লক ঘুরে দেখে জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী জেলা মৎস্য দফতরের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ফরাক্কাতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটি ইলিশ গবেষণাগার তৈরির জন্য দ্রুত ‘ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট’ তৈরি করে জেলা প্রশাসনকে জমা দিতে।
আরও পড়ুন-মাতৃদিবসে সূচনা স্তন্যপান কক্ষের
গঙ্গা-পদ্মা ও ভাগীরথী নদীতে ইলিশের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রায়পুর থেকে নোদাখালি, ত্রিবেণী থেকে বলাগড় এবং মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ থেকে ফরাক্কাকে ‘ইলিশের অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রতিবছর কয়েক লক্ষ ইলিশ সমুদ্র থেকে উজানে সাঁতার কেটে এই এলাকায় পৌঁছে যায় ডিম পাড়ার জন্য। তারপর ফিরে যায় সমুদ্রে। নোনা জলের ইলিশের প্রজনন কীভাবে মিষ্টি জলে করানো যায়, তা নিয়ে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে আইসিএআর-এর বিজ্ঞানীরা ফরাক্কাতে গত তিন বছর গবেষণা করছেন। এবার ইলিশমাছ নিয়ে পৃথকভাবে গবেষণা করতে চাইছে রাজ্য মৎস্য দফতর।
আরও পড়ুন-ঐতিহাসিক দিঘির সংস্কার করবে দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ
জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তা অমলেন্দু বর্মন জানান, ‘‘বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে ইলিশমাছ জড়িত। সারা বছর চাহিদা থাকে। জেলায় ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসক ফরাক্কাতে একটি ইলিশ মাছের গবেষণাগার এবং মিষ্টিজলে (পুকুরে) ইলিশ-চাষের সম্ভাবনা নিয়ে একটি ডিপিআর তৈরি করে দ্রুত পাঠাতে বলেছেন।’’
মৎস্য আধিকারিকদের আশা, ইলিশ গবেষণাগার হলে মুর্শিদাবাদে ইলিশের উৎপাদন আগামী দিন বহুগুণ বাড়বে। মজবুত হবে অর্থনীতি। খাদ্যরসিক বাঙালি আরও বেশি করে মাছের রাজার স্বাদ নিতে পারবেন।