আমতা : আমতার দ্বীপাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েত এলাকা দুটিকে হাওড়া জেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ছে প্রশাসন। এই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। জেলার বাকি অংশের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম বলতে খেয়া বা বাঁশের সেতু। এলাকাবাসীর বক্তব্য, ‘বাম জমানায় পাকাসেতুর জন্য বহু আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাকাসেতু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই সেই প্রতিশ্রুতি পালনে তৎপর প্রশাসন।’
আরও পড়ুন-দিদির নেতৃত্বেই গড়া হবে দিল্লির সরকার: সায়নী
ইতিমধ্যেই কুলিয়াঘাটের কাছে মুণ্ডেশ্বরী নদীর ওপর পাকা সেতু তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ। এবার জমি জরিপের কাজ শুরু করল প্রশাসন। এই উপলক্ষে এদিন ওই এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক সুকান্ত পাল, পূর্ত এবং ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। ছিলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও। চারদিন চলবে জরিপের কাজ। সেতু তৈরির জন্য কিছুটা জমির প্রয়োজন। সেইজন্যই জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। অ্যাপ্রোচ রোড-সহ সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৫০ মিটার।
আরও পড়ুন-বিদেশি লিগে খেলতে দিলে ঘরোয়া ক্রিকেট জৌলুস হারাবে : সাবা করিম
স্থানীয় বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, ‘দ্বীপাঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেতু তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত কাজ চলছে। মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ করে জমিজরিপের কাজ শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই সেতুনির্মাণের কাজও শুরু হবে।’ এদিকে জোরকদমে সেতু তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হতে বেজায় খুশি দ্বীপাঞ্চলের মানুষ। বলছেন, ‘পাকাসেতু হলে হাওড়া জেলার অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হবে।’