নয়াদিল্লি, ৮ মে : ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কান্ডারি যুবরাজ সিং। যুবির এখনও মনে হয়, তিনি ভারতীয় দলের পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক হতে পারতেন। কিন্তু গ্রেগ চ্যাপেল বিতর্কে শচীন তেন্ডুলকরের পাশে থাকায় তাঁকে অধিনায়ক করেনি বোর্ড। এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেছেন, ‘‘বিসিসিআই-এর কয়েকজন কর্তা চাননি আমি ভারতীয় দলের অধিনায়ক হই। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর আমারই অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল। আমি তেমনটাই জানতাম। কিন্তু সেটা হয়নি।
আরও পড়ুন-নির্মলার সাফাই, পরিস্থিতি সামলাতে রেপো রেট বাড়ানো ছাড়া গতি ছিল না
গ্রেগ চ্যাপেলকে নিয়ে ওই বিতর্কিত ঘটনা ঘটল। সৌরভের (গঙ্গোপাধ্যায়) পর শচীনকে নিয়েও সমস্যা তৈরি হল গ্রেগের। আমিই সম্ভবত একমাত্র খেলোয়াড় যে ওই ঘটনায় সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। কিছু বোর্ড কর্তার এটা পছন্দ হয়নি। এটা নাকি বলা হয়, তারা যে কোনও একজনকে অধিনায়ক করবে, কিন্তু আমাকে অধিনায়ক করবে না। আমি এটা শুনেছিলাম, তবে কতটা সত্যি জানি না। তবে এর পরই আমাকে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বীরু সেই সময় দলে ছিল না। সম্পূর্ণ পিছনের সারি থেকে ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হয়ে যায় মাহি। কিন্তু ভেবেছিলাম, আমিই বিশ্বকাপে অধিনায়ক হব। অথচ ইংল্যান্ড সফরে ওয়ান ডে দলে রাহুল ছিল অধিনায়ক। আর আমি ছিলাম সহ-অধিনায়ক।’’ তবে ভারতের অধিনায়ক না হওয়ার জন্য কোনও আক্ষেপ নেই যুবরাজের। বলেছেন, ‘‘পরে আমি ভেবে দেখলাম, মাহি খুব ভাল নেতৃত্ব দিচ্ছে দলকে। টি ২০-র মতো ভারতীয় ওয়ান ডে দলকেও ও নেতৃত্ব দিক। এর পর তো আমি চোট-আঘাতে ভুগতে শুরু করলাম। যদি আমি অধিনায়ক হতামও, তা হলেও আমাকে সরে যেতে হত। মেনে নিয়েছি, যা কিছু হয়েছে ভালর জন্যই হয়েছে। তাই ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে না পারার জন্য কোনও আক্ষেপ নেই।’’