প্রতিবেদন : ধেয়ে আসছে ‘অশনি’। বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। উপকূল এলাকাগুলিতে বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে বাদ অর্জুন
দিঘা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালিতে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ব্লক স্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত ফ্লাড সেন্টার, এনডিআরএফ, উপকূলরক্ষী বাহিনী। আমফান বিপর্যয়ের স্মৃতি মাথায় রেখে প্রস্তুত হয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘অশনি’। অশনি’র পরোক্ষ প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন-মোকাবিলায় দিঘা
মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার কমিশনার নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন, আলো, নিকাশি, উদ্যান, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীদের মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর দায়িত্ব ১৩ জন মেয়র পারিষদের হাতে ভাগ করে দিয়েছেন মেয়র। পুরসভা সূত্রে খবর, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মানিকতলায় ১৭ মিলিমিটার, দত্তবাগানে ৩৩ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ৫৭ মিলিমিটার, পামারবাজারে ৩৪ মিলিমিটার, সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে ৫৩ মিলিমিটার ও মোমিনপুরে ৫৫ মিলিমিটার।