অসমের মাটিতেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বুধবার অসমের মাটিতে দাঁড়িয়ে টার্গেট বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন, লক্ষ্য ২০২৪। আগামী লোকসভা নির্বাচনে অসমে ১৪ টি আসনের মধ্যে ১০ টি আসন তৃণমূলকে জিততে হবে। অসমে তৃণমূল যদিও আগেও লড়াই করেছে তবে এবারের লড়াই একটু হলেও অন্যরকম। আগামী ২ বছর কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিজেপিকে উপড়ে না ফেলা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-২৪ দিন পরে বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়
বুধবার অসম গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে এক দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় তোপ দাগার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের মধ্যে লড়াইয়ের মন্ত্র দিয়ে দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “রিপুন বোরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর অসমের মাটিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। আমাদের লক্ষ্য আগামী লোকসভা নির্বাচনে ১৪ টি আসনের মধ্যে ১০ টি আসনে জিততে হবে। তার জন্য আগামী ২ বছর আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিজেপিকে উপড়ে না ফেলা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে তৃণমূল। বুথে বুথে মাটি কামড়ে লড়াই করতে হবে।” এদিন কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, “ফেসবুক-টুইটারে নয় মাঠে নেমে লড়াই করে তৃণমূল। গত ৮ বছর ধরে কংগ্রেস বিজেপির কাছে হারছে, আর তৃণমূল ৮ বছর ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে জিতছে। তৃণমূল আগেও অসমে লড়াই করেছে, তবে এবারের লড়াই অন্যরকম।”
আরও পড়ুন-জনরোষে জেরবার শ্রীলঙ্কা, সেনাকে নির্দেশ, দেখলেই গুলি করতে হবে
একইসঙ্গে বিজেপির হামলা ও মামলার রাজনীতিকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, “ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বিজেপি, তবে মাথা নত করব না। প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরাতে আমার ওপর হামলা হয়েছে, সুস্মিতার গাড়ি ভাঙা হয়েছে কিন্তু তৃণমূল ময়দান ছাড়েনি। তৃণমূল কংগ্রেস মন্দির ছাড়া কোথাও মাথা নত করে না।” এরপর সরাসরি অসমের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, “৬ বছরে অসমের ডবল ইঞ্জিন কী করেছে? বাংলায় সিঙ্গেল ইঞ্জিন কী করেছে দেখে আসুন। ডবল ইঞ্জিন মানে ডবল চোর। দিল্লিতে ওরা চুরি করবে রাজ্যে এরা চুরি করবে। কেউ কাউকে কিছু বলবে না। এই রাজ্যে সিনেমাকে ট্যাক্স ফ্রি করে জ্বালানিতে ট্যাক্স চাপানো হয়, ৪০০ টাকার গ্যাস হাজার টাকায় কিনতে হয়। মহিলাদের উপর অত্যাচারে দেশে প্রথম অসম, দিনে দিনে এখানে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। সিএএ, এনআরসি নিয়ে অসমে এক কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলায় অন্য কথা বলছেন।” এরসঙ্গে তিনি যোগ করেন, লড়াই যদি করতে হয় তবে উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে লড়াই হোক। কে কার রাজ্যে কত উন্নয়ন করেছে। বাংলার মেয়েরা কন্যাশ্রী পেলে অসমের মেয়েরা পাবে না কেন? বাংলায় চিকিতসা বিনামূল্যে হয়। রাজ্যের মহিলারা ৫০০ ও ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা পান। অসমেও এগুলি হবে। দিল্লি-গুজরাট নয় অসমের মানুষ অসম চালাবেন।