নয়াদিল্লি : মোদি জমানায় ইতিহাস বিকৃতির ধারা অব্যাহত। ঐতিহাসিক তথ্যকে গেরুয়া শিবিরের ছকে ফেলে বিভ্রান্তি প্রচার এবং নির্দিষ্ট তথ্য বাদ দেওয়ার যে কায়দা শুরু হয়েছে, এবার তা দেখা গেল খোদ প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) ট্যুইটেও। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো দাবি করেছিল, স্বামী বিবেকানন্দের আধ্যাত্মিক জাগরণের ফলেই নাকি সিপাহি বিদ্রোহের ঘটনা। নিউ ইন্ডিয়া সমাচার নামে পাক্ষিক পত্রিকায় এই হাস্যকর ও অসত্য দাবি করেছিল কেন্দ্র। কারণ প্রকৃত তথ্য, স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ১৮৬৩ সালে এবং সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছিল তার ৬ বছর আগেই, ১৮৫৭ সালে। কেন্দ্রের তথ্য বিকৃতির ধারা বজায় রেখেই এবার মোদি ট্যুইট করলেন সিপাহি বিদ্রোহের স্মরণে। অথচ তাঁর এই ট্যুইটে সম্পূর্ণ বাদ সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ বারাকপুরের বীর সেনা মঙ্গল পাণ্ডের (Mangal Pandey) নাম। বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে মঙ্গল পাণ্ডে গুলি চালনার মধ্য দিয়ে সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা হয়েছে বলে বলা হয়। অথচ কেন্দ্রের দাবি, এই বিদ্রোহের আঁতুড়ঘর নাকি উত্তরপ্রদেশের মীরাট। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলা-বিদ্বেষী বিজেপি এরাজ্যের মাটি থেকে জন্ম নেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকেও অস্বীকার করতে চায়। তাই ব্রাত্য মঙ্গল পাণ্ডে।
On this day in 1857 began the historic First War of Independence, which ignited a spirit of patriotism among our fellow citizens and contributed to the weakening of colonial rule. I pay homage to all those who were a part of the events of 1857 for their outstanding courage.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 10, 2022
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার কটাক্ষ করে বলেছেন, এ আর নতুন কী? মোদি (Narendra Modi) ও তাঁর দল বরাবরই বাংলা-বিদ্বেষী। যে রাজ্যগুলি ওঁদের অপছন্দের তালিকায়, তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। ২০২১-এর হারের পর এই বাংলা-বিদ্বেষ চরমে পৌঁছেছে। এই ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।