প্রতিবেদন : সিপিএমের সঙ্গে মাখামাখি। তাই কংগ্রেস থেকে তাড়ানো হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে ভি টমাসকে। টমাস কেরল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত। দক্ষিণের এই রাজ্যে নির্বাচনী ময়দানে সিপিএম-কংগ্রেস সম্পর্ক সাপে-নেউলে। টমাস দলের নির্দেশ অমান্য করে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের সেমিনার মঞ্চে উঠেছেন, এই যুক্তিতে তাঁকে সরিয়ে দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড।
আরও পড়ুন-একদিকে কাশ্মীর ফাইলস অন্যদিকে খুন পণ্ডিতরা, মোদি–শাহর বিরুদ্ধে ক্ষোভে উত্তাল জনতা
প্রশ্ন উঠছে, সিপিএম সংশ্রবে টমাসের এত বড় শাস্তি হলে বাংলায় সেই দল তথা বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করে কীভাবে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস? এখানে তো দু’দলের নেতাদের মাখামাখিও বহুচর্চিত। একসঙ্গে নানা ইস্যুতে তাঁরা মিছিল করেন। তাহলে কেরলে সেই নিয়মে ব্যতিক্রম হয় কেন? একই দলের ক্ষেত্রে রাজ্যভেদে নীতির বিভেদ হলে মানুষকে কী বোঝানো হবে? বাংলায় দোস্তি আর কেরলে কুস্তির আজব নীতিতে চলে জাতীয় দল হিসাবে আরও হাস্যকর জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে সোনিয়া গান্ধীর দল। প্রশ্ন হল, কেন এই দ্বিচারিতা? ব্যাখ্যা সহজ। রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়েনাডের সাংসদ। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে কেরলে সিপিএমকে সরিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে, এমন ভেবে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিলেন তিনি। ফল, ভরাডুবি।
আরও পড়ুন-মোদির হিংসার রাজনীতিকে তোপ
তাই টমাসের সিপিএম-প্রীতি ভাল নজরে নিচ্ছে না গান্ধী পরিবার। তাঁদের আত্মসম্মানে লাগছে।
নেতৃত্বে সঙ্কট, রাজ্যে রাজ্যে হার, এমনই জটিল পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব বিরাট ঢক্কানিনাদ করে রাজস্থানে চিন্তন বৈঠকে বসেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই দলকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, সেই লক্ষ্যে এই শিবির। তবে কংগ্রেসের যা মতিগতি, তাতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, এইসব বৈঠক ইত্যাদি করে কোনও লাভ হবে না। কংগ্রেসের খোলনলচে বদলাতে গেলে যে সাহস দরকার, তা কেউ দেখাবেন না। গান্ধী পরিবারও জায়গা ছাড়বে না। অথচ রাহুল গান্ধীকে মুখ হিসেবে রেখে দিলে দ্য গ্রেট ওল্ড পার্টির সলিলসমাধি নিশ্চিত।