সংবাদদাতা, মালদহ : চাঁচল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরগামী ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে দু কিলোমিটার দূরে ভিঙ্গল গ্রাম। গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই পড়েছিল চার বিঘে জমি। আগাছায় ঢেকেছিল। সন্ধে নামলেই অপকর্মের আসর বসত। তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় মানুষ। সমাধানে আসরে নামেন হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গল গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান বিমানবিহারী বসাক। পার্ক করার সিদ্ধান্ত নেন। গড়ে ওঠে ভগিনী নিবেদিতা শিশু উদ্যান।
আরও পড়ুন-পরিবেশ উপেক্ষা করে দেদার কয়লা তোলার অনুমতি
পার্কে শিশুদের হরেকরকম দোলনা, খেলার সরঞ্জাম রয়েছে। রয়েছে ঝর্না, খরগোশ, টারকি থেকে শুরু করে একাধিক পশুপাখি। হারিয়ে যাওয়া পালকিও রয়েছে। আছে ফুলের বাগান। বিশ্ববাংলার সুদৃশ্য লোগোও। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে । প্রতিদিনই পার্কে দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও আসছেন অনেকে। গ্রীষ্মকালে বিকেল হলেই জমজমাট হয়ে পড়ে পার্ক। শীতকালে অনেকে বনভোজনে মাতে। বিশেষ করে ছুটির দিনে বনভোজন ও বেড়াতে আসা মানুষের ভিড়ে মুখর হয় পার্কচত্বর। পার্কটিকে ঘিরে গ্রামের মানুষের ছোটখাটো কর্মসংস্থানও গড়ে উঠেছে। তাঁরা দিয়েছেন খাবারের স্টল। প্রবেশ মূল্য পাঁচ থেকে দশ টাকা। বিমানবিহারীবাবু জানান, ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে।