সংবাদদাতা, হাওড়া : হাওড়া শহরের পানীয় জলের সমস্যা এবার চিরতরে দূর হচ্ছে। রাজ্য সরকার ৪৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের এই প্রাচীন শহরের জল সমস্যার স্থায়ী সমাধান ঘটিয়ে হাওড়ার উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। সোমবার এই ব্যাপারে হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, ‘রাজ্য সরকারের তরফে শহরের জল সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ওই ৪৬২ কোটি টাকা হাওড়া কর্পোরেশনকে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তর হাওড়ার সালকিয়ায় একটি সম্পূর্ণ নতুন জলপ্রকল্প তৈরি হবে। বাকি ১৮২ কোটি টাকায় শহরের জল সরবরাহের সামগ্রিক উন্নতি ঘটানো হবে।
আরও পড়ুন-কাশ্মীর ছাড়ো
আগামী ২ বছরের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।’ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে শহরে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। হাওড়া শহরের জল সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ টাকায় পদ্মপুকুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের আটকে থাকা কাজও শেষ করে ফেলা হবে। ওলাবিবিতলাতে যে পাম্পিং স্টেশনের কাজ চলছে তাও দ্রুত শেষ করা হবে। ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান বেনারস রোডে মাটির নিচে ১২ ফুটের জলের পাইপ লাইন বসানোর কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। বেলগাছিয়া পাম্পিং স্টেশনের কাজও বরাদ্দকৃত এই অর্থে দ্রুত শেষ হয়ে গেলে সংযুক্ত এলাকার মানুষও পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন। ওলাবিবিতলার পাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ হয়ে গেলে শিবপুর, মধ্যহাওড়া ও দক্ষিণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় জলসমস্যা দূর হবে। এরই সঙ্গে জলের চাপ বাড়াতে বেশি পরিমাণে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে বোটানিকাল গার্ডেনের ইনটেক পয়েন্টে গঙ্গা থেকে জল তোলার পাইপের ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন-পুড়ছে দিল্লি
এর ফলে আরও বেশি পরিমাণে জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এরই সঙ্গে পদ্মপুকুরের পর সালকিয়ায় একটি নতুন জলপ্রকল্প তৈরি হয়ে গেলে উত্তর হাওড়া ও শিবপুরের জলসমস্যা চিরতরে নির্মূল হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় সালকিয়ার ওই জল প্রকল্প থেকে প্রয়োজনে বালি, বেলুড় ও লিলুয়ারও কিছু এলাকায় জল সরবরাহ করা যাবে। সালকিয়ার নতুন জলপ্রকল্প ও পদ্মপুকুরের বাকি সমস্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করতে চাইছে হাওড়া কর্পোরেশন। হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসক পর্ষদের চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দু’বছরের মধ্যে হাওড়া শহরে পানীয় জল সরবরাহের পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে। যার ফলে আগামী কয়েক দশক শহরবাসীকে জলসমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেবে।’