প্রতিবেদন : খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেত্রী পল্লবী দে-র বাবা-মা। সোমবার আইনজীবীকে নিয়ে গড়ফা থানায় যান তাঁরা। পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী এবং তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। প্রশ্ন উঠেছে, পল্লবী ঘরের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন দেখেও সাগ্নিক তাঁকে নিবৃত্ত করলেন না কেন? কেন পুলিশকে খবর দিলেন না? যেখানে জেরার মুখে সাগ্নিক নিজেই পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় জলপ্রকল্পে ৪৬২ কোটি
রবিবার দুপুরে গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। সাগ্নিকই প্রথম ওই অবস্থায় দেখতে পান পল্লবীকে। মানসিক অবসাদই পল্লবীকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে বলে সাগ্নিক বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁকে জেরার পরে পুলিশ এখনও ধন্দে পল্লবীর মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, পল্লবীর গলায় রয়েছে নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক। পুলিশের অপরাধ বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কেউ অন্য কারও গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিলে পুরো গলা জুড়ে সাধারণত থাকে কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক। কিন্তু আত্মহত্যা করলে শুধু থুতনির দিকেই থেকে যায় দাগ। যাকে বলা হয় নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক। ঝুলেই যে পল্লবীর মৃত্যু হয়েছে, তা ধরা পড়েছে প্রাথমিক রিপোর্টেই। বিছানার চাদর ফ্যানের সঙ্গে লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল তাঁর দেহ। তাই গলার দাগ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-কাশ্মীর ছাড়ো
কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেরিয়ে আসে জিভ। ঝরতে থাকে লালারস। পল্লবীর ক্ষেত্রে কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। এই বিষয়টাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তা ছাড়া পল্লবীর উচ্চতাও আত্মহত্যার তত্ত্বকে সমর্থন করে না। তবে সাগ্নিক বিবাহিত এবং তাঁর স্ত্রী ওই ফ্ল্যাটে আসতেন বলে যা অভিযোগ উঠেছে, তাও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বান্ধবী ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সাগ্নিকের ঘনিষ্ঠতা কতটা গভীরে পৌঁছেছিল, সেটাও গুরুত্ব পাচ্ছে তদন্তে। জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে ঐন্দ্রিলাকেও।