সংবাদদাতা, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমানে এতদিন তেমন কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা ছিল না। এখন এই জেলায় দূষণহীন কৃষিজাতসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণের কারখানা স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শিল্পপতিরা। সম্প্রতি আসানসোলে জেলাশাসকের দফতরে আয়োজিত বিভিন্ন বণিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর থেকে ১১টি নতুন শিল্পস্থাপনের প্রস্তাব জমা পড়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগে উৎসাহ দেখাচ্ছেন শিল্পপতিরা।
আরও পড়ুন-গরমের ছুটিতেও মিড ডে মিল
মুখ্যমন্ত্রী এই জেলায় এসে চাল থেকে ইথানল, ধানের তুষ থেকে ভোজ্যতেল ইত্যাদির কারখানা করার উপর জোর দেন। এ ছাড়াও প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ডিমের প্রয়োজন মেটাতে ছোট শিল্পোদ্যোগীদের পোল্ট্রি ফার্ম করারও পরামর্শ দেন তিনি। গ্রিন ক্যাটাগরির এই শিল্পের ক্ষেত্রে সর্বাধিক দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানা যায়। এর জন্য কোনও সমান্তরাল জামিন রাখার প্রয়োজন হবে না বলেও আগেই জানিয়ে ছিল রাজ্য সরকার। শিল্পপতিরা আগ্রহী হওয়ায় রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের ধান ও আলু ছাড়াও বিভিন্ন আনাজ প্রক্রিয়াকরণের পর প্যাকেটবন্দি করার ইউনিট গড়ে উঠলে দেশের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও তার বিপুল চাহিদা হবে বলে মনে করেন শিল্পপতিরা। দক্ষিণবঙ্গের বণিক সংগঠন ‘বেঙ্গল সাব-আরবান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর মহাসচিব প্রফুল্লকুমার ঘোষ বলেন, ‘পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, বিশেষত জাপান থেকে রাজ্যে শিল্পস্থাপনে আগ্রহ দেখিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে। ৩০টির বেশি কারখানা করতে চান তাঁরা। জমির জন্য আবেদনও করেছেন। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেই তাঁরা এ বিষয়ে এগোতে পারবেন।’