সংবাদদাতা, বোলপুর : বুদ্ধপূর্ণিমার পরের দিন চড়কগাছের পুজো সেরেই চড়কের মেলা বসে সর্পলেহনা আলবাঁধ পঞ্চায়েতের মহিষডাল গ্রামে। মেলার মাঠে আদিবাসী পূজারিরা সবাই সাদা ধুতি ও সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে হাজির হন। তারপর তিন-চার মানুষ উঁচু বাঁশের খুঁটির এক প্রান্তে একজনকে বাঁধা হয়। তাঁর হাতে থাকে একটি বেতের সাজি। বাঁশের লাঠির অন্য প্রান্তে দড়ি বেঁধে তাঁকে ঘোরানো হয়। শূন্যে ঘোরার সময় উপর থেকে পুজোর ফল ও ফুল ছুঁড়ে ফেলা হয় ভক্তদের উদ্দেশে।
আরও পড়ুন-মায়ের দেহ নিয়ে ৩ দিন কাটাল ছেলে
শূন্যে ঘোরার সময় যেন কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে বাড়ির মেয়েরা জোড় হাতে ইষ্টনাম জপে। এই উপলক্ষে একদিনের মেলা বসে। সারারাত আদিবাসী নাচ-গান হয়। গত মঙ্গলবার ছিল সেই চড়কের মেলা। জানা গেল, হিন্দুদের মতোই আদিবাসীদের এই চড়কের মেলা। তবে চৈত্রমাসের শেষের গাজনের মেলার মতো হলেও, আদিবাসীদের এই চড়কমেলা কিছুটা আলাদা। এখানে ভক্তদের পিঠে বঁড়শি গাঁথা হয় না। মেলা হয় বুদ্ধপূর্ণিমার পরের দিন। মহিষডাল আদিবাসী যুব সঙ্ঘের পরিচালনায়। স্থানীয় শিব সোরেন বলেন, জলের মধ্যে শিবলিঙ্গের পুজো হয়। তারপর চড়কগাছের পুজো হয়। গাজনের সঙ্গে এই চড়কের মিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪০ বছরের বেশি ধরে এই পুজো ও মেলা চলে আসছে। আসলে আমরা আদিবাসীরা তো হিন্দুই ছিলাম। তাই মিল থেকে গিয়েছে।