নয়াদিল্লি : আগামী কয়েক মাসে ভয়াবহ খাদ্যসংকটের (Food Crisis) মুখে পড়তে চলেছে বিশ্ব। আগাম সতর্কতা দিল রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)। দুনিয়ার খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের কারণেই আগামী কয়েক মাসে ব্যাপক আকারে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে আগামী কয়েক মাসে বিশ্ব জুড়ে প্রবল খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ভূখণ্ডে সেতুনির্মাণ চিনের, মেনে নিল কেন্দ্র
বিশ্বে মোট গম উৎপাদনের ৩০ শতাংশই হয় ইউক্রেন ও রাশিয়ায়। অন্যদিকে ভুট্টা উৎপাদনের ২০ শতাংশের জোগান দেয় এই দুই দেশ। যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে দুই দেশ থেকে গম ও ভুট্টা-সহ অধিকাংশ খাদ্যপণ্যের রফতানি বন্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়িসের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন সব তথ্য। রাষ্ট্রসংঘের (Food Crisis- United Nations) মহাসচিব বলেছেন, এই যুদ্ধের ফলে দ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। ইউক্রেন যদি যুদ্ধ শুরুর আগের মাত্রায় রফতানি আবারও শুরু করতে না পারে, তা হলে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। আশঙ্কার বিষয় হল, সেই দুর্ভিক্ষ কয়েক বছর ধরে চলবে। এই যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের বন্দরগুলি থেকে রপ্তানি বন্ধ। রুশ আগ্রাসন শুরুর আগে এই বন্দরগুলি দিয়ে বিপুল পরিমাণ সূর্যমুখীর তেল, ভুট্টা ও গমের মতো খাদ্যশস্য রফতানি হয়েছে। এখন তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর বিকল্প পণ্যের দামও বেড়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই বছর বিশ্বে খাদ্যের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গুতেরেস বলেন, এই সংঘাত কমপক্ষে এক কোটি মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি করেছে। ফলে অপুষ্টি, গণক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।