প্রতিবেদন : জলবায়ুর পরিবর্তন এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে দেশের মানুষ। দ্য গ্লোবাল ফুড পলিসি রিপোর্ট-২০২২ (The Global Food Policy) থেকে জানা গিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৯.০৬ কোটি ভারতীয়কে অভুক্ত থাকতে হবে। গত কয়েক দশক ধরেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়ে এসেছেন। বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করার ফল আজ ভারত-সহ বিশ্বের প্রতিটি দেশই টের পাচ্ছে। এই মুহূর্তে উত্তর-পশ্চিম ভারত প্রবল তাপপ্রবাহে জ্বলছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে খাদ্যসঙ্কট আসন্ন, সতর্ক করল রাষ্ট্রসংঘ
অন্যদিকে বন্যায় ভাসছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। জলবায়ুর এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনে ব্যাপক মার খাচ্ছে কৃষি উৎপাদন। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল। গ্লোবাল ফুড পলিসির (The Global Food Policy) ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জলবায়ুর প্রভাব থাকার কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে ৯.০৬ কোটি ভারতবাসীকে অনাহারের মধ্যে পড়তে হতে পারে। গোটা বিশ্বে জলবায়ুর অবস্থান, কৃষি উৎপাদন, অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় বিশেষভাবে ভারতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২১০০ সালের মধ্যে ভারতের গড় তাপমাত্রা ২.৪ থেকে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। গোটা গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের পরিমাণ তিন থেকে চার গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে কৃষি উৎপাদনে। তাপমাত্রা যত বাড়বে ভারতের কৃষিজ উৎপাদন ততই কমবে। ওই সমীক্ষা-রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে, ২০৪১ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে ভারতের কৃষিজ উৎপাদন ১.৮ থেকে ৬.৬ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। আবার ২০৬১ থেকে ২০৮০ সালের মধ্যে কৃষি উৎপাদন কমতে পারে ৭.২ থেকে ২৩.৬ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের এই ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে সহজ বেরিয়ে আসা যাবে না। ভবিষ্যতের এই বিপদ থেকে বাঁচতে হলে গোটা বিশ্বকে একযোগে কাজ করতে হবে।