সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : প্রথম দফার শোকজ নোটিশের জবাব দিয়ে দ্বিতীয় দফার শোকজ পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত অধ্যাপক। কৌশিক ভট্টাচার্য, অরিন্দম চক্রবর্তী, সনৎকুমার জেনা, শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়, টেরেন্স স্যামুয়েল, তাপস কুণ্ডু, সঞ্চিতা পালচৌধুরি-সহ ৭ অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুট-সহ বিভিন্ন নিয়ম ভাঙার অভিযোগে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয় মে মাসে। এই মাসেই ফের দ্বিতীয় দফায় শোকজ নোটিশ দেওয়া হল তাঁদের।
আরও পড়ুন-রামমোহন রায় পুরস্কার ছৌগুরু হেমচন্দ্রকে
অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, নিশ্চয়ই শোকজপ্রাপ্ত অধ্যাপকরা প্রথম দফার শোকজের অভিযোগ খণ্ডন করে বিশ্বভারতীর অবমাননাকর বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিরুদ্ধ কিছুই করেননি বলে জানান। তারপরই দ্বিতীয় দফার এই শোকজে বিশ্বভারতীর জায়গায় ‘উপাচার্য’-র বিরুদ্ধে অবমাননাকর পোস্টার ব্যবহারের অভিযোগ এনে ফের শোকজ নোটিশ পাঠানো হয় ওঁদের। এ বিষয়ে তাঁদের অভিমত হল, এক্ষেত্রে সময় নষ্ট করা ছাড়া এই দ্বিতীয় দফার শোকজের ভবিষ্যৎ বলে কিছুই নেই। কারণ ১৮৭২ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের পার্ট থ্রি চ্যাপ্টার সেভেনে পরিষ্কার বলা আছে, অভিযোগ প্রমাণের পুরো দায়িত্ব অভিযোগকারীর উপর বর্তায়। সুতরাং বিশ্বভারতীর কিছুই করার নেই। দ্বিতীয় দফার জবাব অধ্যাপকরা খণ্ডন করার পর উপাচার্য গরমের ছুটিকে ঢাল করে নতুন কী পদক্ষেপ নেন সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা শান্তিনিকেতন।