সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : কলকাতার মাঠে ফুটবল পায়ে নামল জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামের সাঁওতাল ফুটবলার চন্দ্রমোহন হেমব্রম (Chandra Mohan Hembram)। ঝাড়গ্রাম জেলার ওড়িশা লাগোয়া নয়াগ্রাম থানার জঙ্গল ঘেরা গ্রাম ধীরল বালিগেড়িয়া। সেখানে বাড়ি চন্দ্রমোহন হেমব্রমের। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। বাবা লালু হেমব্রম চাষের কাজ করেন। চন্দ্রমোহন (Chandra Mohan Hembram) পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি কলেজে সাঁওতালিতে অনার্স নিয়ে পড়ছেন। যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য মেদিনীপুরের একটি মেসে থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন মেদিনীপুরের রাঙামাটি মাঠে। কোচ প্রদীপ ভট্টাচার্য তাঁকে কোচিং করাতেন। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলত রোজকার ফুটবল তালিম। ২৭ মার্চ ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়ে কলকাতায় মিলন সমিতির মাঠে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে আসেন চন্দ্রমোহন। ৭ এপ্রিল চূড়ান্ত নির্বাচন হয়। স্ট্রাইকার পজিশনে চন্দ্রমোহনের খেলা দেখে মুগ্ধ হন কলকাতার এএসএ ইউনাইটেড স্টুডেন্ট ক্লাবের কর্মকর্তারা। তাঁরা এরিয়ানস ফুটবল আকাদেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্বাচন করেন। তার পরেই চূড়ান্ত শিবির হয় মিলন সমিতির মাঠে। ঝাড়গ্রাম থেকে সম্ভবত এই প্রথম কোনও সাঁওতাল সম্প্রদায়ের প্রতিভাবান ফুটবলার কলকাতা মাঠে খেলবেন। এএসএ ইউনাইটেড স্টুডেন্ট ক্লাব এবার প্রথম কলকাতা ফুটবল লিগে খেলবে। চন্দ্রমোহন জানান, এই প্রথম কলকাতার মাঠে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কলকাতা লিগে খেলবেন তিনি। এর আগে নয়াগ্রাম ফুটবল প্রতিযোগিতা ছাড়া জঙ্গলমহল কাপে খেলেছেন। পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশাতেও খেলতে গেছেন। বহুদিনের ইচ্ছা ছিল কলকাতা মাঠে খেলার। সেই সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে। খুশি তাঁর পরিবারও। এরপর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলতে চান। সে জন্য পড়াশোনা ও ফুটবল প্রশিক্ষণ কোনওটাতেই খামতি রাখবেন না চন্দ্রমোহন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ঝড় তুলতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, ভুল শোধরাবে পুরুলিয়া