অলোক সরকার: দুপুরে একবার। রাতে আরেকবার। দু’দফায় বোর্ড প্রেসিডেন্টকে ঢুকতে দেখে এটা বোঝা গেল, ইডেনে আইপিএল সাড়ম্বরে ফিরছে!
ক্লাব হাউসের বাইরে সেই আগের মতোই ভিড়। বিকেলে প্রথমে রাজস্থান, পরে গুজরাট মাঠে ঢুকতেই জনতার উল্লাস। সেই আগের মতোই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও ঠিক এটাই বলছিলেন। কী বললেন তিনি? এটাই, এ তো চেনা ছবি। ইডেনে খেলা হলে এমনই হয়।
রাজস্থান বনাম গুজরাট ম্যাচের ঠিক পিছনে উঁকি মারছে বিরাট ম্যাচ। সিএবির এক কর্তা বললেন, কেকেআর না থাকায় ভেবেছিলাম টিকিটের চাপ কমবে। কোথায় কী। উত্তরোত্তর চাপ বাড়ছে। কেউ এসে চিরকুট ধরিয়েছেন। অমুকে পাঠিয়েছে। টিকিট লাগবে। কেউ হাতে সাদা খাম নিয়ে হাসি ছড়াচ্ছেন। চাহিদা বেশি বিরাটদের ম্যাচের। সেটা হলে লটারি পাওয়া। না হলে মঙ্গলবারের ম্যাচ।
আরও পড়ুন-এখন আমার ঘরের মাঠ মোতেরাই : ঋদ্ধিমান
তিন বছর পর আইপিএল ফিরছে ইডেনে। কেউ এই সুযোগ ছাড়তে চান না। আইপিএল প্লে-অফে চারজন বঙ্গ ক্রিকেটারকে দেখা যাবে ইডেনে। যার মধ্যে দু’জনকে মাঠে দেখা যাবে মঙ্গলবার। ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ শামি। পরেরদিন আরসিবির হয়ে খেলবেন শাহবাজ আমেদ ও আকাশদীপ। এদিন বিকেলে ঋদ্ধি যখন টিম বাস থেকে নামলেন, জনতা হইহই করে উঠল। পরে শুভমান গিলের পাশের নেটে ব্যাট করলেন অনেকক্ষণ। চলতি আইপিএলে রানের মধ্যে আছেন ঋদ্ধি। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে তাঁর ব্যাটে রান দেখতে চায় ইডেন। সঙ্গে জবাবও। ঘরের ছেলের উপেক্ষার।
আরও পড়ুন-বাড়ছে লুপ্তপ্রায় কচ্ছপ সোনাকাঠা, হল কর্মশালা
গুজরাট ফর্মে আছে। হার্দিক জাতীয় দলে ফিরলেন আইপিএলকে ধরে। হাতে শামি ও রশিদের মতো বোলার। কিন্তু জস বাটলার যদি নিজের খেলা খেলে দিতে পারেন, তাহলে মুশকিল আছে গুজরাটের। আগের ম্যাচে বাটলার রান পাননি। রাজস্থান ফাইনালে পা রাখতে তাঁর দিকেই তাকিয়ে। তবে রান করতে হবে সঞ্জু স্যামসনকেও।
সন্ধ্যায় চুটিয়ে প্র্যাকটিস করল দুটো দল। দেখে মনে হল ফাইনালে চোখ রেখে আজ মাঠে নামবে গুজরাট ও রাজস্থান। সৌরভ পিচ দেখে বলে গেলেন, ভাল উইকেট। তাঁর থেকে ইডেনকে ভাল আর কে চিনবে।