সংবাদদাতা, হাওড়া : মেট্রোর পরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনের নামেও এবার বেসরকারীকরণের পথে হাঁটল কেন্দ্র। পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশনের নামের সঙ্গে জুড়ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বা কোনও পণ্যের নাম। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলের তরফে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন স্টেশনের মূল নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে বেসরকারি সংস্থার নাম।
আরও পড়ুন-চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন
এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট স্টেশনের ঐতিহ্য বা স্থানীয় মানুষদের আবেগকে কোনওরকম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও বেসরকারি সংস্থাকে আহ্বান করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রেলের তরফে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দিল্লি মেট্রোতে এই ব্যবস্থা চালু করে রেলের আয় বেড়েছে। সেইভাবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কো-ব্র্যান্ডিংয়ের পথে হাঁটতে চলেছে পূর্ব রেলও। এই শাখার বিভিন্ন স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের ভার দেওয়া হবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে। এই বিষয়ে শীঘ্রই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে রেল। স্টেশনের নাম লেখার বোর্ডেও বড় বড় হরফে উল্লেখ থাকবে আধুনিকীকরণের দায়িত্ব পাওয়া ওই বেসরকারি সংস্থা বা তাদের পণ্যের নাম।
আরও পড়ুন-শ্মশানের জমিতে প্রোমোটারি
এই ব্যাপারে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেল স্টেশনের নামকরণের সঙ্গে অনেক ঐতিহ্য ও স্থানীয় মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকে। সেই নামের সঙ্গে বেসরকারি বিজ্ঞাপনী সংস্থার নাম যুক্ত হলে ওই ঐতিহ্য যেমন নষ্ট হবে তেমনই স্থানীয় মানুষদের ভাবাবেগেও আঘাত লাগবে। এইভাবে কার্যত বেসরকারীকরণের পথেই হাঁটছে রেল। বেসরকারি সংস্থাকে না নিয়ে এসে বিকল্প পথে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হোক।’’ যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ‘‘যাত্রী ভাড়া না বাড়িয়ে বিকল্প পথে রেলের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই কো-ব্র্যান্ডিং চালু করা হয়েছে। এর ফলে দিল্লি মেট্রোর আয় বেড়েছে। রেল স্টেশনের নামফলকে বেসরকারি সংস্থার নাম থাকলেও পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, ট্রেনের টিকিট, যাত্রীদের জন্য মাইকের মাধ্যমে ঘোষণার সময়, রুট ম্যাপ, ওয়েবসাইট প্রভৃতিতে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার নাম থাকবে না।’’