সংবাদদাতা, আসানসোল : ‘‘কয়েক হাজার মানুষের মুখের গ্রাস আর মাথার ছাদ কেড়ে নেওয়ার বৃহত্তর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে মোদি সরকার। আসানসোলে রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই অস্বাভাবিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে কেন্দ্র। সে জন্য কখনও রাতের অন্ধকারে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কখনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে কেড়ে নিচ্ছে মুখের গ্রাস।
আরও পড়ুন-শিখরকে চাননি দ্রাবিড়
রেলের এই চরম অমানবিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। হাজার হাজার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে দল। পুনর্বাসন না দিয়ে গরিব মানুষদের জোর করে উচ্ছেদ করলে বড় মূল্য দিতে হবে রেলকে।’’ কড়া ভাষায় এ কথা জানিয়ে দিলেন আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক। সোমবার রেলপার এলাকার ছয় পুর প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম পরমানন্দ শর্মার সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করলেও ডিআরএম তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সামান্য ভদ্রতাটুকুও দেখাননি। ফলে চরম অপমানিত হয়ে আলোচনা না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হন সপার্ষদ অভিজিৎবাবু।
আরও পড়ুন-পরের আইপিএলেই আমি ফিরছি : এবি
ক্ষুব্ধ ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘‘রেলের ক্ষমতা থাকলে রেলপার এলাকার একটি মানুষের গায়ে আঁচড় লাগিয়ে দেখুক। লজ্জা করে না ওদের! মাত্র এক মাস আগেই এখানে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে গোহারা হেরেছে বিজেপি। হার হজম করতে না পেরে এভাবে প্রতিহিংসা ছড়াচ্ছে মোদি সরকারের রেল।’’ এদিকে রেলের দেওয়া চরম সময়সীমা শেষ হয় মঙ্গলবারই। এদিনের পর চাঁদমারি, মহুয়া ভাঙাল ইত্যাদি এলাকার ৪২৯টি আবাসন ও ৪০০-রও বেশি দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় রেল। প্রায় ৫০-৬০ বছরেরও বেশি সময় এই জমিতে বসবাস ও ছোটখাট ব্যবসা ইত্যাদি করে সংসার চালাচ্ছেন কয়েক হাজার গরিব মানুষ। তাঁদের বলপূর্বক উচ্ছেদ করা হলে ভয়ঙ্কর পরিণাম অপেক্ষা করছে বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।