প্রতিবেদন: ছোট থেকে বড়, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালগুলিতে মজুত করা ওষুধের অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বুধবার স্বাস্থ্যভবনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলাশাসক, বিডিওদেরও এই কাজে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের জন্য সরকারি টাকায় কেনা ওষুধের অপচয় এবং অপব্যবহার রুখতেই এই ব্যবস্থা বলেই জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় কড়া ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে কোনও ব্যক্তির মৌখিক অথবা লিখিত অনুরোধে হাসপাতাল থেকে কোনও ওষুধ দেওয়া যাবে না, সেই ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোন না কেন।
আরও পড়ুন-বুশকে খুনের ছক
সরকারি হালপাতালগুলিতে ওষুধের যথাযথ বিলি বণ্টন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। ওষুধের কাউন্টারগুলির আশপাশে সিসিটিভির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সেই সিসিটিভি ফুটজ প্রতি সপ্তাহে খতিয়ে দেখতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও আউটডোরের রোগী ছাড়া অন্য কাউকে হাসপাতালের স্টক থেকে ওষুধ দেওয়া চলবে না। ওষুধের স্টকের আপডেট নিয়মিত ভাবে কমপিউটারে তুলে রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ, সহকারী ইনচার্জ ও সুপারভাইজাররা গোটা বিষয়টার ওপর নজরদারি চালাবেন। মাসে একবার করে চলবে সারপ্রাইজ ভিজিট।
আরও পড়ুন-গম দিক ভারত
সোজা কথায় সরকারি হাসপাতালের ওষুধ নিয়ে কোনও অভিযোগ শুনতে আর রাজি নয় রাজ্য প্রশাসন। দুঃস্থ, গরিব রোগীদের জন্য রাখা ওষুধ কোনও ভাবেই যেন নষ্ট না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারিখ পেরিয়ে যাওয়া ওষুধের হিসেব রাখার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে।