দেবর্ষি মজুমদার বোলপুর: ঘুঘু দেখেছেন, সত্যি করেই ঘুঘু ধরার ফাঁদ কি দেখেছেন? দেখতে চাইলে চলে আসুন বিষ্ণুবাটি গ্রামের বিমল বাস্কির মাঝি পরগনা সাঁওতাল সংগ্রহশালায়।
২০০৭-এ গ্রামের কয়েকজন মানুষের উৎসাহে তৈরি হয়েছে। সাঁওতালদের শিকারের সামগ্রী থেকে শুরু করে সংস্কৃতির সরঞ্জাম, সব কিছুই রয়েছে। রয়েছে প্রাচীন পাথরের লিপি ও ভাস্কর্যও। ২০০৭ থেকে সংগ্রহ শুরু করেন বিমল। চাষাবাদ করে সংসার চালান। কিন্তু নেশা আদিবাসী সমাজের দৈনন্দিন জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত সামগ্রী সংগ্রহ করা। গ্রামের মহিলা, পুরুষ সকলেই সাহায্য করছেন।
আরও পড়ুন-খোলের বোলে দুয়ারে সরকার
এখানে আছে ঘুঘু ধরার ফাঁদ থেকে শেয়াল, বক, তিতির, মেঠো ইঁদুর, গর্তের বড় ইঁদুর ধরার ফাঁদ। আছে হাতে তৈরি মাছ ধরার সামগ্রী। সাঁওতাল জনজাতির বাদ্যযন্ত্র৷ যুথচারী হিসেবে তারা শিঙা ব্যবহার করত। পুজো, বিয়ে প্রভৃতিতে মোষের সিংয়ের সাকোয়া, ধামসা, মাদল, লাগরা, বাঁশের তৈরি বানাম প্রভৃতি ব্যবহার করা হত৷ ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ থেকে ১২০ বছরের প্রাচীন ১৭০টি সামগ্রী সংগ্রহ হয়েছে। বেশ কিছু পাথরের তৈরি ভাস্কর, শিলালিপিও রয়েছে। এছাড়াও পুজো-পার্বণের নিয়মাবলির ছবি, ব্যবহৃত গহনাও রয়েছে। গৃহবধূ মালতী বাস্কির মতো অনেকেই নিজেদের সংগ্রহে থাকা অলঙ্কার দান করেছেন এখানে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা।