প্রতিবেদন : মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১২ রান। রাতারাতি নায়ক বনে গিয়েছেন রজত পাতিদার। বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের মতো মহাতারকাদের উইকেট খুইয়ে দল যখন ধুঁকছে। তখন পাতিদারের এই ইনিংসটাই আরসিবি-র জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল।
ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলের হয়ে নতুন নায়কের ইন্টারভিউ নিতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং কিং কোহলি। চোখেমুখে মুগ্ধতার ঘোর নিয়ে বিরাটের মন্তব্য, ‘‘ড্রেসিংরুমে ফেরার পরেই ওকে (পাতিদার) বলেছিলাম, দীর্ঘ কেরিয়ারে আমি চাপের মুখে অনেক ভাল ইনিংস দেখেছি। ওর ইনিংসটা অন্যতম সেরা হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন-মেয়াদ-উত্তীর্ণ জলের বোতল বিক্রি বনগাঁয়, বেনিয়ম রুখল পুরসভা
সত্যি কথা বলতে কী, এর থেকে ভাল ইনিংস আমি খুব বেশি দেখিনি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এমন ম্যাচে এই সেঞ্চুরির প্রশংসা করতেই হবে। আইপিএলের প্লে-অফে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে পাতিদার সেঞ্চুরি করল।’’
পরপর কয়েকটা উইকেট পড়ায় তিনি নিজেও যে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিরাট। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি খুবই টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। এর আগে অনেকবার এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ হেরে ফিরতে হয়েছে। তাই পাতিদারের ইনিংসটা এত গুরুত্বপূর্ণ। ওর ব্যাটিং সবাইকে শিক্ষা দিয়ে গেল যে, নিজের উপরে বিশ্বাস রাখলে এবং কঠোর পরিশ্রম করলে যে সাফল্য ধরা দেবেই।’’
আরও পড়ুন-রক্তাক্ত আফগানিস্তান
এদিকে বিরাটের প্রশ্নের উত্তরে পাতিদার জানিয়েছেন, ‘‘চাপ থাকলেও নিজের উপরে বিশ্বাস ছিল। তাই শুরুতে দ্রুতগতিতে রান তুললে না পারলেও, ক্রিজে টিকে থাকতে চেয়েছিলাম। জানতাম পরে বড় শট নিতে পারব। এই প্রথমবার আমি শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করলাম।’’ আরসিবি-র জয়ের নায়ক আরও বলেন, ‘‘কেএল রাহুল যতক্ষণ ব্যাট করছিল আমার টেনশন হচ্ছিল।
প্রার্থনা করছিলাম, ও যাতে আউট হয়ে যায়। রাহুল আউট হওয়ার পর চাপ অনেকটাই কমে গিয়েছিল।’’