প্রতিবেদন : এবার রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপের চক্রান্ত করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ২০০৬ সালে কেন্দ্রে প্রণীত ‘মডেল পুলিশ অ্যাক্ট’স-কে কাজে লাগিয়ে এবার মোদি সরকার ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান পুলিস ফোর্স’ নীতি কার্যকর করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই নীতি ও আইনকে সামনে রেখে রাজ্যের হাত থেকে পুলিশ কেড়ে নিতে চাইছে মোদি সরকার। আর এই বিষয়ে কেন্দ্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ দুই দফায় চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে।
আরও পড়ুন-বন্ধ ব্যান্ডেল, ভিড় বাড়ল বাসে-লঞ্চে
নবান্ন কেন্দ্রের এই খবরদারিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবিধানের সপ্তম তফসিল অনুযায়ী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়। তাতে অযাচিত হস্তক্ষেপের অর্থ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করা এবং সংবিধানকে উপেক্ষা করা। সপ্তম তফসিল ছাড়াও সংবিধানের ২৪৬ অনুচ্ছেদেও পুলিশের ওপর রাজ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠিত। রাজ্য পুলিশের ওপর কেন্দ্রের তেমন কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু মোদি সরকার এখন উঠেপড়ে লেগেছে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান পুলিস ফোর্স’ রূপায়ণের জন্য। আর সেই নীতি কার্যকর করতেই কাজ শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। গোটা দেশের পুলিশের জন্য ‘এক উর্দি, এক টুপি, এক এমব্লেম, এক পতাকা’ ব্যবহার করার লক্ষ্য নিয়ে রাজ্য পুলিশের প্রধানদের বা ডিজিপি-দের চিঠি পাঠিয়েছে তাঁরা।
আরও পড়ুন-জখমদের সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা
কী ধরনের উর্দি ও টুপি ব্যবহার করা হয়, কী তাদের প্রতীক, কী তার রং, পুলিশের কোন স্তর থেকে উর্দিতে স্টার ব্যবহার করা হয়, পুলিশের স্তর বিন্যাসটাই বা কেমন? এসব প্রশ্নের উত্তর চেয়ে অন্য সব রাজ্যের সঙ্গেই ২ মে নিরাপত্তা পরিষদ চিঠি দিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে। দেশের কয়েকটি রাজ্য যাবতীয় তথ্য পাঠাতে শুরু করলেও বাংলা-সহ দেশের ১৮টি রাজ্য এই তথ্য দিতে রীতিমতো নারাজ। এই সব রাজ্যের মধ্যে যেমন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য রয়েছে তেমনি বিজেপি শাসিত রাজ্যও আছে। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ। আবার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসম এবং গোয়া।