প্রতিবেদন : বিশ্বের বহু দেশে মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে ফের বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ-দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। তাও আগাম সতর্ক থাকার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে টম্যাটোপক্স (Tomato Flu) নামে আর একটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। রাজ্যে সংক্রমণ না ঘটলেও তামিনাড়ু, কেরল, ওড়িশায় শিশুদের টম্যাটোফ্লু-র (Tomato Flu) হদিশ মিলেছে, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব রুখতে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্ক জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট তথা ভাইস প্রিন্সিপাল, প্রতিটি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ওইসব পদাধিকারীরা যেন নিজ নিজ এলাকায় থাকা সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সতর্ক করে দেন ও সব হাসপাতালেই যেন পৃথক আইসোলেশান বেডের ব্যবস্থা আগে থেকে করে রাখেন। পাশাপাশি কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দিয়ে আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রীদের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুটবল রাজপুত্রের স্মৃতিতে তৈরি আস্ত বিমান
আফ্রিকা থেকে আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, মাঙ্কিপক্স রোগটা নতুন নয়। তবে এই রোগ সম্পর্কে খুব একটা স্পষ্ট ধারণা ছিল না বিশ্ববাসীর। আফ্রিকাতে এই রোগের হদিশ আগে মিললেও, ইদানীং এমন কিছু দেশে এই রোগ ছড়াচ্ছে, যা নিয়ে বিস্মিত গবেষকরা। কোভিডের হানা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৭ জনকে নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। গবেষণার রিপোর্ট সম্প্রতি ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। ওই গবেষণা অনুযায়ী, এমন কিছু ‘অ্যান্টি ভাইরাল’ ওষুধ আছে যা প্রয়োগ করলে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলিকে প্রশমিত করা সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, এই সব ওষুধের প্রয়োগ করে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন— এমনই দাবি গবেষকদের। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, রক্ত এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলেই শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতি টের পাওয়া সম্ভব।