প্রতিবেদন : নাকতলার বছর আঠারোর কিশোর স্নেহাংশু সেনগুপ্তর মৃত্যুকে ঘিরে উঠছে একাধিক অভিযোগ। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, অসুস্থতার কারণে স্নেহাংশুর মৃত্যু হয়নি। মৃত্যুর আসল কারণ বাবা ও সৎ মায়ের অত্যাচার। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন মৃতের আত্মীয়রা। অভিযোগ পেয়েই টালিগঞ্জ থানার পুলিশ শ্মশান থেকে স্নেহাংশুর মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-বালিগঞ্জে উচ্ছেদ নিয়ে বিক্ষোভ
পোস্টমর্টেমের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে স্নেহাংশুর বাবা শিশির সেনগুপ্ত ও সৎ মা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, অসুস্থতার কারণেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে শুক্রবার সকালে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় নাকতলার কিশোর স্নেহাংশু সেনগুপ্তর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের, এমনই লেখা রয়েছে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে। এরপরই শুক্রবার দুপুরে কেওড়াতলা
আরও পড়ুন-শাবককে মাটিচাপা দিয়ে পাশে মা, চোখে জল
শ্মশানে কিশোরের মৃতদেহ সত্কারের জন্য নিয়ে যান তাঁর বাবা ও সৎ মা। কিন্তু, তাতে আপত্তি জানান আত্মীয়রা। তাঁরা টালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ সত্কার থামিয়ে মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। মৃতের এক আত্মীয়ের দাবি, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর শিশিরবাবু দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই সৎ মা ছেলের ওপর অত্যাচার করতেন। তবে মৃত স্নেহাংশুর দিদিও অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।